অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন শুরু হবে আগামী সপ্তাহে : তথ্যমন্ত্রী

করোনা ভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়াবেন না

নিউজ ডেস্ক: আগামী সপ্তাহ থেকে সরকার অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন দেয়া শুরু করবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

সোমবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তথ্যমন্ত্রী এ কথা জানান। একই সঙ্গে পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে অনলাইন পরিচালনার জন্য অনুমোদন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে যে অনলাইনগুলো আছে সেই অনলাইনগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছিলাম। আমাদের তথ্য মন্ত্রণালয়ে ৩ হাজার ৫৯৭টি দরখাস্ত জমা পড়েছে। সেগুলো তদন্ত করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠিয়েছিলাম। পরবর্তী সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, টেলিকম মিনিস্ট্রি, আইসিসি মিনিস্ট্রিসহ একটি সভা করেছিলাম।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছিলাম যত দ্রুত সম্ভব অনলাইনগুলোর ব্যাপারে তদন্ত শেষ করে আমাদের কাছে জানানোর জন্য, যাতে আমরা নিবন্ধনের কাজটি শুরু করতে পারি। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আজ বা কালকের মধ্যে তারা তদন্ত শেষ করে কয়েকশ অনলাইনের তথ্য আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেবে।’

‘আমরা আগামী সপ্তাহ থেকে অনলাইনের নিবন্ধন দেয়া শুরু করব। এ প্রক্রিয়া শেষ করতে কিছুদিন সময় লাগবে। ৩ হাজার ৬০০ অনলাইনের তদন্ত শেষ করা সহজ কাজ নয় এবং কয়েকটি সংস্থা তদন্ত করছে,’- বলেন হাছান মাহমুদ।

তিনি আরও বলেন, ‘যে কয়টি আমরা আজকে বা কালকের মধ্যে পাব সেগুলোকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিবন্ধন দেয়া শুরু করব। যেগুলো নিবন্ধিত হবে না, সেগুলোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

ভবিষ্যতেও অনলাইনের নিবন্ধন দিতে আবার দরখাস্ত আহ্বান করা হবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কারণ, এখন যে অনলাইনগুলো আছে এখানেই তো শেষ হয়ে যেতে পারে না। পত্রিকা যেমন যে কোনো সময় যে কেউ বের করতে পারে, ভবিষ্যতে অনলাইনও বের করতে পারবে।’

‘কিন্তু ভবিষ্যতে অনলাইন পোর্টাল চালু করতে হলে সেটি একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, অনুমতির মাধ্যমে সেটি করতে হবে। এখন যেমন কেউ চাইলেই একটি পত্রিকা বের করতে পারে না, তাকে ডিক্লারেশন নিতে হয়, নামের ছাড়পত্র নিতে হয়। অনলাইনের ক্ষেত্রে একটি প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ভবিষ্যতে তা চালু করতে হবে। এখনও দেখা যায় যে, ঘরের মধ্যে কয়েক জন বসে অনলাইন চালায়, এমন ঘটনাও ঘটছে।’

টিভি চ্যানেল-পত্রিকার অনলাইনেরও অনুমোদন নিতে হবে

অনেক অনলাইন ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে তা দিচ্ছে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইন পত্রিকার নয়, কাগজের পত্রিকার অনলাইন ভার্সন করা হচ্ছে। সেগুলো নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। সেগুলোকেও একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে। কারণ, যিনি যেটার লাইসেন্স পেয়েছেন সেটার বাইরে….শুধু যে পত্রিকাগুলো অনলাইন করছে তা নয়, টেলিভিশনগুলো অনলাইন চালু করেছে। সেটিরও অনুমতি এখনও পর্যন্ত নাই। সবকিছুকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনার জন্য আমরা একটি প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’

তিনি বলেন, ‘টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যে অনলাইন চালু করেছে, সেগুলোর অনুমতি নিতে হবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পত্রিকার অনলাইনের ব্যাপারে প্রথমে যে একটি প্রজ্ঞাপন হয়েছিল সেটি হচ্ছে মিডিয়াভুক্ত ছাড়পত্র পাওয়া যেসব পত্রিকা আছে তারা অনলাইন করতে পারবে। আগে এই ধরনের একটি সিদ্ধান্ত ছিল। তবে আমরা মনে করি যে, এটা আমরা আলোচনাও করেছি সেক্ষেত্রেও একটি নিয়মনীতির মধ্যে থাকার প্রয়োজন আছে।’

আইপি টিভির জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পরিপূর্ণভাবে হয়নি। আইপি টিভিকেও রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে অনেক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ধীরে ধীরে, এ ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা কাজ করছি।’