মানহানীকারী পৃথিবীর যেই প্রান্তেই থাকুক, তার একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবীতে সমাবেশ

ডেস্ক: আখেরী নবী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে মানহানীকারী পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক, তার একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড- বক্তব্য নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করেছে মাদারীপুর সচেতন মুসলমান এবং ছাত্র জনতা। সম্প্রতি ভারতের মহরাষ্ট্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে মানহানী করে বক্তব্য দেয় রামগিরি নামক এক মুশরিক কুলাঙ্গার। তার ঐ বক্তব্যের প্রতিবাদে মাদারীপুর সচেতন মুসলমান এবং ছাত্র জনতা এ সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের প্রাণের থেকেও প্রিয়। উনার পবিত্র শানে বিন্দু থেকে বিন্দুতম বেয়াদবী আমরা মেনে নেব না। পৃথিবীর যে প্রান্তেই সে কটূক্তিকারী থাকুক, তার একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সারা বিশ্বের মুসলমানদের পক্ষে আমরা চাই অবিলম্বে সেই সেই কুলাঙ্গারকে গ্রেফতার করে তার শরঈ শাস্তি জারি করা হোক।

বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে এই জঘন্য কর্মের শক্ত প্রতিবাদ করা। ভারত সরকারকে চাপ দেয়া যেন কুলাঙ্গার রামগিরিকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করে। ভারত সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে তার সাথে আমাদের দেশের সকল সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত। যে রাষ্ট্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শানে মানহানীকারীকে প্রশ্রয় দেয়, তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না।

বক্তারা আরো বলেন, ভারতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে যে মুশরিকরা মানহানী করেছে, সেই মুশরিকদের জন্য বাংলাদেশ সরকার ইলিশ পাঠায়েছে। এ থেকে আর কষ্টের বিষয় কি হতে পারে? অপরাধী কখনো ইলিশ পাওয়ার যোগ্য ছিল না। বাংলাদেশ সরকার ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কখনো উচিত ছিল না। তার পরেও তারা পাঠিয়েছিল। ফলে জাতীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

বক্তারা আরো বলেন, ভারতে যখন মুসলমানরা চরম নির্যাতিত হচ্ছে, মসজিদ ভাঙ্গা হচ্ছে, গরুর গোশতের জন্য মুসলমানদের শহীদ করা হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের হিন্দুরা শাহী হালে আছে। তাদের সরকারী সহায়তায় পূজা করতে দেয়া হচ্ছে। এটা কখনই ইনসাফ নয়। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের আমলে সরকারী ত্রাণ তহবিল থেকে প্রতি মন্ডপে ৫০০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হতো। অথচ ঈদে বা কুরবানীতে মসজিদগুলোতে কিছুই দেয়া হতোনা। এটা ছিলো আওয়ামীলীগের চরম বেইনসাফ। ভবিষ্যতে পূজাতে কোন ত্রাণ দেয়া যাবেনা। এটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনই হওয়া উচিত!

মাদারীপুর জজ কোর্টের সামনে ২০ শে অক্টেবর রোজ রবিবার বিকাল ৩ঃ৩০ মিনিটে এবং মাদারীপুর লের্ক পার্কের সামনে ২০ শে অক্টেবর রোজ রবিবার বাদ আছর অনুরূপ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়!

বার্তা প্রেরক
মাদারীপুর সচেতন মুসলমান এবং ছাত্র জনতার পক্ষে
মিডিয়া সম্পাদক: সিয়াম আহমদ শান্ত