প্রানীর প্রতিকৃতি করা ইসলামের ফতোয়া অনুযায়ী হারাম
মূর্তি হোক বা ভাস্কর্য, খোদাই হোক বা কাঠে কাটা হোক, লোহার হোক বা প্লাস্টিকের, মাটির হোক বা পাথরের মাধ্যমে, ক্যামেরার ছবি হোক বা হাতে আঁকা হোক, পূজার উদ্দেশ্যে হোক বা সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য হোক বা যেটাই হোক যদি কোন প্রানীর প্রতিকৃতি হয় সেটাই ইসলামের ফতোয়া অনুযায়ী হারাম। সকল হাদীছ শরীফের কিতাবে এটাই উল্লেখ আছে এ বিষয়ে পৃথিবীর সকল ইমাম মুস্তাহিদগন একমত।
বর্তমান আন্দোলনকারী মৌলবীরা এ কথাটা কেন দৃঢ়তার সাথে বলছে না। খালি মূর্তি ভাস্কর্য শব্দ ব্যবহার করতেছে। হাদীছ শরীফের এটা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে,
كُلُّ مُصَوِّرٍ فِى النَّارِ
অর্থ: প্রত্যেক প্রানীর প্রতিকৃতি তৈরীকারীই জাহান্নামী। (মুসলিম শরীফ হাদীছ ৫৬৬২, মুসনাদে আহমদ ২৮১১)
এ বিষয়ে ইমাম মুস্তাহিদগন বলেন,
قال النووى قال العلماء: تصوير صورة الحيوان حرام شديد التحريم وهو من الكبائر لانه متوعد عليه بهذا الوعيد الشديد، وسواء صنعه لما يمتهن ام لغيره فصنعه حرام بكل حال وسواء كان فى ثوب او بساط او درهم او دينار او فلس او اناء او حائط او غيرها، فاما تصوير ما ليس فيه صورة حيوان فليس بحرام. قلت: ويؤيد التعميم فيما له ظل و فيما لا ظل له.
অর্থ: হযরত ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেছেন: প্রাণীর ছবি আঁকা বা তৈরি করা হারাম, এমনকি কঠিন হারাম। এটা কবীরা গুনাহ। কেননা প্রাণীর ছবি অঙ্কনকারীদের ব্যাপারে হাদীছ শরীফ-এ কঠিন আযাব-গযবের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তিরস্কার করার জন্য তৈরি করুক অথবা তিরষ্কার না করার জন্য তৈরি করুক, তা তৈরি করা সর্বাবস্থায় হারাম। অনুরূপ কাপড়ে, বিছানায়, রৌপ্য মুদ্রায়, স্বর্ণ মুদ্রায়, টাকা-পয়সায়, পাত্রে, দেয়ালে অথবা এছাড়া অন্যান্য কিছুতে প্রাণীর ছবি আঁকা হারাম। কিন্তু প্রাণহীন বস্তুর ছবি আঁকা হারাম নয়। আমি বলি (হযরত ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন) , প্রাণীর ছূরত যে হারাম এ ফতওয়া আমভাবে মূর্তি-ভাস্কর্য ও ছবির ব্যাপারে সমানভাবে প্রযোজ্য।
(ফতহুল বারী- অধ্যায়: পোশাক পরিচ্ছদ: ক্বিয়ামতের দিন প্রাণীর ছবি অঙ্কনকারীদের শাস্তি প্রদান সম্পর্কে ১০ম খ- ৩৮৪ পৃষ্ঠা)
সূতরাং মাধ্যম যেটাই হোক বা উদ্দেশ্য যেটাই হোক প্রানীর প্রতিকৃতি তেরী করাই হারাম। যারা হালাল বলবে তারা ঈমানহারা হবে।
মুফতি মুহম্মদ নূরউদ্দীন লেখক ও গবেষক।