প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বিশেষজ্ঞদের অভিমত

 

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ডেস্ক: সৃজনশীল প্রশ্নের নামে মনগড়া, অযৌক্তিক, কান্ডজ্ঞানহীন উদ্দীপক বানিয়ে শক্ষার্থীদের মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা এবং সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে কিছু প্রশ্নকর্তা ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তারা। ঢাকা বোর্ডের বাংলা প্রথমপত্র সৃজনশীল অংশের উদ্দীপকে বলা হচ্ছে- আধুনিক শিক্ষিত যুবক ধর্ম-খোদা-রাসুলে বিশ্বাস করে না। পীর-মাশায়েখদেরকে ঢালাওভাবে ভন্ড বলা হচ্ছে। একইভাবে চট্টগ্রাম বোর্ডের সৃজনশীল প্রশ্নে বুঝানো হচ্ছে- মুসলমানরা খুনি, অকৃজ্ঞ। খেলাফতকে করা হয়েছে কটাক্ষ।

চলমান এইচএসসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বোর্ডের বাংলা প্রথমপত্রে সৃজনশীল অংশের প্রশ্নটি হলো- (উদ্দীপক)- এতিম ফারুককে শিশু অবস্থায় রাস্তা থেকে কুড়িয়ে এনে বড় করেছে গণেশের বাবা। অথচ ফুটবল খেলাকে ঘিরে সামান্য কথা কাটাকাটির জের ধরে গণেশকে কুপিয়ে হত্যা করে ফারুক।

প্রশ্ন: উপরের মুসলিম চরিত্রটি উপন্যাসের কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে?

এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের কয়েকজন প্রভাষক এবং অধ্যাপকের মন্তব্য ও বিশ্লেষণ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলে তাদের নাম প্রকাশ করা হলো না। তাদের বক্তব্য-

এতিম ফারুককে গণেশের বাবা রাস্তা থেকে কুড়িয়ে আনতে পারে। লালন-পালনও করতে পারে। এটাই আমাদের সম্প্রীতি এবং ভ্রাতৃত্ববোধ। অথচ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সামান্য বিষয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে গণেশকে কুপিয়ে হত্যা করলো ফারুক! এতে কী বুঝানো হলো? মুসলমানরা খুনি, মুসলমানরা অকৃজ্ঞ! এ ধরনের প্রশ্নের অর্থ কী?

নিয়ম হচ্ছে- সমসাময়িক বিষয়কে উদ্দীপক হিসেবে তুলে ধরতে হবে উপন্যাস বা গল্পের চরিত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। যাতে করে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই এবং বাস্তবতার মিল খুঁজে পায়। অর্থাৎ পড়াশোনাকে বাস্তবিক করার জন্য সৃজনশীল। উপরে উল্লেখিত উদ্দীপকের মতো কোনো সমসাময়িক ঘটনা নেই। প্রথমেই সৃজনশীলতার যোগ্যতা হারিয়েছে প্রশ্নটি। বাকি যেটুকু আছে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ।

এখন নিশ্চিত করে বলা যায়, গণেশ আর ফারুককে ফুটবল খেলায় লাগিয়ে দিয়ে গণেশের বাবা ফারুককে আশ্রয় দিয়ে যে সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সে দৃষ্টান্তকে কেউ হত্যা করেছে বা করতে চেয়েছে।

এ ধরনের উদ্দেশ্য যদি না-ই হয়; তাহলে কেন শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরনের সাম্প্রদায়িক খুনোখুনির বিষয় প্রশ্নপত্রে আসবে? কেন বিশেষ জাতি ধর্মকে খুনি, অকৃজ্ঞ হিসেবে তুলে ধরা হবে? এটাতো ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিমের সঙ্গে অন্য দলের খেলা নয়? যা-তা ইচ্ছে একটি ভিডিও বানিয়ে ছেড়ে দিলাম। একটা সিরিয়াস ইস্যু নিয়ে এ ধরনের কর্মকা-ের অর্থ কী? কারা প্রশ্ন করে? কীসের জন্য প্রশ্ন করে? কার দালালি করে? কারা তারা, আজ যারা প্রগতিশীল দাবিদার?

যা পাঠ্যসূচিতেই থাকা ঠিক না। কোনো বইয়েও যদি এরকম সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর মতো বিষয় থাকে, তাহলে তাও বন্ধ করা উচিত। সেক্ষেত্রে জাতীয় প্রশ্নপত্রে এধরনের প্রশ্ন কীভাবে করা হয়?- এমনই মত দিয়েছেন দেশের সচেতন শিক্ষকরা।

একই বিষয়ে ঢাকা বোর্ডের উদ্দীপকটি হলো- আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত যুবক এমদাদ। ধর্ম-খোদা-রাসুল কিছুই বিশ্বাস করে না সে। খেলাফত আন্দোলনে যোগ দিয়ে একেবারে বদলে গেল। পীরের মুরিদ হয়েছে এবং নিয়মিত নামজ পড়ছে। পীরের ভন্ডামি ও লোলুপ দৃষ্টি এমদাদের কাছে ধরা পড়ল। মুরিদের সুন্দরী বউ কলিমনকে জোরপূর্বক তালাক পড়িয়ে নিজে বিয়ে করেছে। এমদাদ এতে ক্রদ্ধ হয়ে পীরের মেহেদি রঞ্জিত দাড়ি ধরে হেঁচকা টানে মাটিতে ফেলে দেয়।

প্রশ্ন: উদ্দীপকের এমদাদ লালসালু উপন্যাসের কোন চরিত্রের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ?

ঢাকা বোর্ডের প্রশ্নটি সম্পর্কে দেশের সচেতন শিক্ষকরা বলেন, আধুনিক শিক্ষায় কি তাহলে নাস্তিকতা শেখানো হয়! ‘এমদাদ মুলসমান। সে আধুনিক শিক্ষিত। সে ধর্ম-খোদা-রাসুল বিশ্বাস করে না।’ -এগুলো অবান্তর, বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা। এখানে বুঝানো হচ্ছে- তুমি আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত যুবক, তুমি ধর্ম-কর্ম করবে না।

পীর সাহেবের মুরীদ হওয়ার অর্থ কী? পীর সাহেব কি কারো ঘরে থাকেন? নাকি পীর সাহেবের খানকায় গিয়ে মুরীদরা তার পরিবার নিয়ে থাকে? ‘মুরীদ হয়েছে এমদাদ।’ -এর সঙ্গে তার বউয়ের সম্পর্ক কী? পীর সাহেব থাকেন উনার খানকায়, বউ থাকে ঘরে। এগুলো নিঃসন্দেহে অযৌক্তিক। ভ্রান্ত ধারণা শিক্ষার্থীদের মনে প্রবেশ করানোর পাঁয়তারা। যাতে তারা ধর্ম-কর্ম থেকে দূরে থাকে।

আরেকটি ব্যাপার হতে পারে, দেশে কুখ্যাত কয়েকজন ভন্ডপীর আছে। যদি ভন্ডপীর চেনানোর উদ্দেশ্য থাকতো, তাহলে নাম দিলেই খুব সহজে শিক্ষার্থীরা সচেতন হতে পারতো। তা না করে পুরো পীর-মাশায়েখ আুনাদেরকে ভন্ড বলে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটাই বুঝানো হলো- দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে থাকো।

এভাবেই ইসলামী স্পর্শকাতর বিষয়গুলোকে জঘন্যভাবে প্রশ্নপত্রে তুলে ধরা হয়েছে। যা জাতীয়তাবোধ, ইসলামী মূল্যবোধ, পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ ধ্বংসের দুরভিসন্ধি চক্রান্তের অংশ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এসব উদ্দীপকের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উসকানি, বিদ্বেষ শেখানো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, এভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অধিকার কারো নেই। নিঃসন্দেহে এটি একটি গর্হিত কাজ। যারা প্রশ্ন করেছে সচেতন হয়ে কাজ করা উচিত ছিল। প্রশ্ন দুটিতে ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসের প্রতি যেমন কটাক্ষ করা হয়েছে অন্যদিকে মুসলমান, হিন্দু এ দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে একটা খুনোখুনির বিষয় তুলে ধরা হইছে। আমি বলবো- এটা প্রশ্নকর্তাদের চিন্তা ভাবনার ব্যর্থতা।

চট্টগ্রাম বোর্ডের প্রশ্নের প্রতিক্রিয়ায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক ও শোলাকিয়ার ইমাম ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, এধরনের প্রশ্ন শিক্ষার্থীর মনে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়াবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। এরকম প্রশ্ন যারা করেছে তার মানসিকতাকেও আমি প্রশ্নবিদ্ধ করছি। উপরের মুসলিম চরিত্রটি কোনোভাবেই মুসিলম জাতির প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো নাটকে গল্পে এরকম দেখানো হয়ছে। কোনো ফারুক খারাপ হতে পারে বা কোনো গণেশ ভালো থাকতে পারে। সব ফারুক যেমন খারাপ না; সব গণেশ ভালো নাও হতে পারে। উদ্দীপকে যেভাবে ফারুকের চরিত্র দিয়ে মুসলিম চরিত্রের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে- এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং সাম্প্রদায়িক। যে প্রশ্ন করেছে সে সাম্প্রদায়িক দোষে দুষ্টু বলে আমি মনে করি। এর মধ্যে উসকানি যে স্পষ্ট- এতে কোনো সন্দেহ নেই।

ঢাকা বোর্ডের প্রশ্ন সম্পর্কে তিনি বলেন, এভাবে কটাক্ষ করে বলার কোনো যৌক্তিকতা নেই। আধুনিক শিক্ষিত মানেই নাস্তিক হতে হবে এটা সত্যের অপলাপ মাত্র। কারণ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত বহু মানুষ আছে যারা খাঁটি ধর্মপ্রাণ। খোদ আমাদের প্রধানমন্ত্রীও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত। তার সম্পর্কে আমরা জানি তিনি ধর্মভক্ত মানুষ। আমাদের রাষ্ট্রপতিও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ। তিনিও অত্যন্ত ধর্মভক্ত ব্যক্তি। সুতরাং এধরনের প্রশ্ন দেশের স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র, ধর্মপ্রাণ মানুষকে উসকে দেয়ার অপপ্রয়াস বলে আমি মনে করি। এ অপপ্রয়াসীরা সমাজের শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। অবিলম্বে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হোক।

বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলে (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সিলেবাস প্রণয়নকারীর সংস্থার উদাসীনতার কারণে এমনটি ঘটেছে। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার, রাষ্ট্রকে একটি সাম্প্রদায়িক মোড়কে রেখে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের সরাসরি বা কৌশলী যে চেষ্টা, তার ফলেই এধরনের উসকানি বা বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রয়াস উৎসাহিত হয়। আমি মনে করি- সচেতনভাবেই হোক বা অন্য যেকোনো মহলের দ্বারা প্ররোচিত হয়েই হোক- এগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

শিক্ষার মান কমে গেছে, প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে, নানা ধরনের ড্রপআউট হচ্ছে, সঙ্কটের শেষ নেই। তার সঙ্গে যা শিক্ষা আছে সেটাও যদি কলুষিত করা হয়! তা হবে দেশ জাতির জন্য অমঙ্গল। সচেতনার জন্য এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। এধরনের লেখা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বা শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করবে। বাঙালি মুসলমানদের ঐতিহ্য-কৃষ্টির পরিপন্থী; যোগ করেন তিনি।

প্রশ্ন দুটিতে সাম্প্রদায়িক উসকানি এবং উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, আমি মনে করি- এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। নেপথ্যে কোথাও একটা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা, উসকানি দেবার অপতৎপরতা আছে। নামগুলোকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে- বিশেষ করে একটা অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি; যখন একটার পর একটা হত্যাকা- সংঘটিত হচ্ছে, অনেকে মারা যাচ্ছে, খুন হচ্ছে- ছোটখাটো বিষয় থেকে। আমি মনে করি, এমন সময়ে এটা চূড়ান্ত দায়িত্বহীনতা। যারা করেছে তাদের চিহ্নিত করা দরকার।

তিনি আরো বলেন, এটার পিছনে নিশ্চিতভাবে কেউ না কেউ তো আছেই। এরকম অনেক লোক শিক্ষা বিভাগে লুকিয়ে আছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমি বিস্মিত হচ্ছি- যে প্রশ্নগুলো তো একজনে চূড়ান্ত করে না। এটা তো অনেকগুলো হাত হয়ে ঘুরে আসে। কেন এটা দায়িত্বশীল কারো চোখে পড়লো না? ভুল বা অসাধনতাবশতঃ হয়েছে এরকম ভাবার কোনো কারণ নেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক উচ্চপস্থ কর্মকর্তা বলেন, এটা বুঝাই যায় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এসব করা হচ্ছে। সবার মতো আমিও আঘাত পেয়েছি। সরকারি চাকরি করি, সবকিছু বলা যায় না। চাইলেও বলতে পারি না। তবে অবশ্যই কেউ নেপথ্যে চাপ দিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটা করিয়েছে। এতে মনে হচ্ছে- দেশের শিক্ষা কার্যক্রম আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই?

তবে ভুল স্বীকার করেছে খোদ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শ্রীকান্ত কুমার চন্দ। সে বলেছে, নিঃসন্দেহে এটি প্রশ্নকর্তা এবং প্রশ্ন বাছাই কমিটির ভুল। অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিবে। বুধবার (৬ এপ্রিল-২০১৬) আমরা কয়েকটি কলেজের শিক্ষককে ডেকেছি। যারা বাংলা বিষয়ে প্রশ্ন করেছে। আমরা তাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছি। তারা তাদের বক্তব্য দিয়েছে। বক্তব্যগুলো মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিচার-বিবেচনায় তাদেরকে শাস্তি প্রদান করা হবে।

এখানে শিক্ষা বোর্ডের দায় কতুটুকু- এ প্রশ্নের উত্তরে সে বলেছে, ঢাকা বোর্ডের প্রশ্নটা ঢাকা বোর্ড করেনি। চট্টগ্রাম বোর্ডের প্রশ্নটিও অন্য কেউ করেছে। এখানে শিক্ষক প্রশ্ন করার পর নির্বাচক দল আছে। নির্বাচকরা এ প্রশ্নগুলো নির্বাচন করে। তারপর প্রশ্নপত্রগুলো সিলগালা কারা হয়। সিলগালা অবস্থায় আমরা লটারী করে ডিজি’র কাছে দেই। যদি বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা প্রশ্নগুলো দেখতে পারতো, তারপর যদি সেটা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেয়া হতো, তাহলে বোর্ডের কর্মকর্তাকে দায়বদ্ধ করা যেতো। বোর্ড থেকে প্রশ্ন কর্তাদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে- আপনারা এমন কোনো প্রশ্ন করবেন না- যার দ্বারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে, ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করে। যারা এ প্রশ্নগুলো করেছে এর দায়ভার তাদেরকেই নিতে হবে।