সামনে ঈদুল ফিতর: ছিনতাই দমনে ‘প্রয়োজনে’ গুলি করবে পুলিশ

ঢাকা: রাজধানীবাসীর ঈদ কেনাকাটার সময় ছিনতাই কিংবা চাঁদাবাজির মতো কোনো ঘটনা ঘটলে প্রয়োজনে পুলিশ গুলি চালাবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

তিনি বলেন, ‘চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি এমনকি রাহাজানি প্রতিরোধে প্রয়োজনে পুলিশকে গুলি করতে বলা হয়েছে। কোনোভাবেই দুষ্কৃতকারীদের ছাড় দেয়া হবে না। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মতবিনিময় সভার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কিছুদিন আগেও ব্যাংকের সামনে পাহারা দিতে হতো, টাকা ছিনতাই হতো। আমাদের গোয়েন্দারা সতর্ক রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যদি এ ধরনের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে তবে আমরা প্রয়োজনে গুলি চালাবো। কারণ এটিও আইনে বলা রয়েছে জান ও মাল রক্ষার্থে পুলিশ গুলি ছুড়তে পারবে।’ গুলি ছোড়ার ক্ষেত্রে ‘আইন মেনে’ পুলিশ তা করবে বলে নগরবাসীকে আশ্বস্ত করেন কমিশনার।

ডিএমপি সূত্র জানায়, সম্প্রতি চাঁদাবাজি-ছিনতাই প্রতিরোধে ডিএমপি কমিশনার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলারও জারি করেন। সেখানেও পুলিশকে ছিনতাই-চাঁদাবাজি প্রতিরোধে আইনের মধ্যে থেকে প্রয়োজনে গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, ঈদকে সামনে রেখে চাঁদাবাজি-ছিনতাই প্রতিরোধে চেকপোস্ট বৃদ্ধি, ভেহিকেল ও ফুট পেট্রোল বৃদ্ধি, গোয়েন্দা নজরদারিসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

রাজধানীর গাবতলীতে অনুষ্ঠিত ট্রাফিক সচেতনতা সংক্রান্ত অনুষ্ঠান শেষে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পুলিশ কখনও ক্রসফায়ার করে না। তাদের কাজ হচ্ছে, আসামিদের ধরে আইনে সোপর্দ করা।’ কমিশনার বলেন, ‘তবে অপরাধী ধরতে গিয়ে পুলিশ আক্রান্ত হলে এনকাউন্টারে যেতে বাধ্য হতে হয়। তখন দু-একজন অপরাধীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, অনেক সময় পুলিশ সদস্যরাও আহত হন।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরে ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টিরও কোনো দৌরাত্ম্য থাকবে না। ইতিমধ্যে অজ্ঞান পার্টির দুই শতাধিক সদস্যকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। রাজধানীর যানজট কমানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকার ভেতরের বাসডিপোগুলো বাইরে নেয়া হলে যানজট অনেকাংশে কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।