উৎস কর বাড়লে অনেক নিট ও ওভেন কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে: বিজিএমইএ

ঢাকা: বর্তমান পরিস্থিতিতে উৎস কর ১ দশিমক ৫০ শতাংশ করা হলে অনেক নিট ও ওভেন কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।

আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল খাতে শীর্ষ ৫ সংগঠনের (বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বিটিটিএলএমইএ ও বিজিএপিএমইএ) যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

বিজিএমই সভাপতি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত বছরের তুলনায় আমাদের রফতানিমূল্য (এফওবি) কমে গেছে, উৎপাদন খরচও বড়েছে। সেই সঙ্গে আমাদের মুদ্রাও শক্তিশালী হয়েছে। সে কারণে রিস্ক ফ্যাক্টর ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পরিস্থিতিতে উৎসে আয়কর ১ দশমিক ৫ শতাংশ করা হলে আমাদের অনেক নিট ও ওভেন কারখানা আর টিকে থাকতে পারবে না।

তিনি আরো বলেন, বিনিয়োগ ও জিডিপির অনুপাত ৩৪ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্র নেওয়া হয়েছে, যা বর্তমানে ২৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ রয়েছে। এ অবস্থায় যে খাতগুলো জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে সেগুলোর পথ সহজতর করে উৎসাহ প্রদান করাই বাঞ্চনীয়।

করপোরেট ট্যাক্স ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিজিএসইএ সভাপতি বলেন, শিল্পের স্বার্থে সরকার এ হার কমিয়ে আগের মতো ১০ শতাংশ করার অনুরোধ করছি। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেটে পোশাক শিল্পের দেয়া ১০টির মধ্যে একটিও যথাযথভাবে গৃহীত হয়নি। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কারণে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল খাত সংকটময় পরিস্থিতে রয়েছে।

এফবিসিসিআই’র প্রথম সহ-সভাপতি ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম বলেন, দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি করা উচিত না যাতে বিনিয়োগ কমে যায়। বরং বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা উচিত। পোশাক শিল্পের উপযোগী বাজেট দেওয়া উচিত। এ শিল্পের সঙ্গে দেশের ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বিজিএমইএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, সহ-সভাপতি এস এম মান্নান (কচি), সহ-সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাছির, সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান (বাবু), বিকেএমইএ’র ১ম সহ-সভাপতি এ এইচ আসলাম সানি, বিটিএমএ সহ সভাপতি ফজলুল হক, বিটিটিএলএমইএ চেয়ারম্যান হোসেন মেহমুদ, বিজিএপিএমইএ ২য় সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মনি, বিইওজিডব্লিওআইওএ সভাপতি হেলাল উদ্দিন আহমেদসহ বিজিএমইএ ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।