ঐশীর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন

ঢাকা: পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার দায়ে তাদের মেয়ে মৃ্ত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঐশী রহমানের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

সুপ্রিম কোর্টের সম্পূরক কার্যতালিকায় সোমবার রায়ের জন্য দিন ঠিক করা হয়।

এর আগে রোববার বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে, গত ৭ মে শুনানি শেষে যেকোনো দিন দেয়া হবে বলে জানিয়ে রায় ঘোষণা অপেক্ষমান (সিএভি) রাখে হাইকোর্ট।

গত ১২ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ শুনানিতে ঐশীর পক্ষে অংশ নেয় আইনজীবী আফজাল এইচ খান ও সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির।

এর মধ্যে গত ১০ এপ্রিল ঐশীর মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে ১৫ মিনিট ধরে একান্তে তার কথা শোনে হাইকোর্ট। পরে তাকে আবারো পাঠিয়ে দেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসায় খুন হন পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান।

এ ঘটনার পরদিন ঐশী গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর ঐশীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদের আদালত।