বাধ্যতামূলক মঙ্গল শোভাযাত্রার নির্দেশ প্রত্যাহার করতে হবে: হেফাজত

ঢাকা: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলা নববর্ষকে বরণের আয়োজনে হিন্দুয়ানী উৎসব মঙ্গল শোভাযাত্রা বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনের মহাসচিব হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী শনিবার (৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

তিনি বলেন,‘ঈমানবিরোধী রীতি পালনে রাষ্ট্র কখনও মুসলিম শিক্ষার্থীদের বাধ্য করতে পারে না। এটা নাগরিকদের অধিকার রক্ষার সংবিধানের মৌলিক নীতিমালার ঘোরতর বিরোধী। আমরা দেশীয় রীতি ও সংস্কৃতির বিরোধী নই। তবে সংস্কৃতির লেবেল সেঁটে দিয়ে মুসলমানদের ঈমান হরণ করার আয়োজনে তো চুপ থাকার সুযোগ নেই।’

বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আরও বলেন, ‘বর্ষবরণের নামে মূলত মুসলমানদের ঈমান-আক্বীদাবিরোধী ভিনদেশি হিন্দুত্ববাদী ও আগ্রাসী সাংস্কৃতিক প্রসার ঘটানোর চেষ্টা চলছে। নতুন বছরের প্রথম দিন বাঘ-ভাল্লুক, সাপ, বিচ্ছু, কুমির, পেঁচা, ময়ূর ও বিভিন্ন দেবদেবীর বড় বড় মূর্তি, ছবি নিয়ে ও মুখোশ পরে মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে যে র‌্যালি বের করা হয়, এখানে কার কাছে নতুন বছরের মঙ্গল ও কল্যাণ কামনা করা হচ্ছে? ইসলামের বিশ্বাস মতে কোনও জীবজন্তু, বন্যপ্রাণী ও দেবদেবীর মূর্তির কাছে কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করলে ঈমান থাকবে না।’

বাধ্যতামূলক মঙ্গল শোভাযাত্রার নির্দেশ শিক্ষা অধিদফতর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাখ লাখ মুসলিম ছাত্রছাত্রীর ঈমান ধ্বংস করার আয়োজন ছাড়া কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতের মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘দেশীয় সংস্কৃতি মানে যেসব আচরণ ও রীতি দেশের মানুষের কাছ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রকাশ পায়। দেশের অধিকাংশ মানুষের ধারণা নেই, এমন রীতি দেশীয় সংস্কৃতি হয় কী করে?’

শুধু মঙ্গল শোভাযাত্রা নয়, পান্তা-ইলিশের সংস্কৃতির চর্চাও আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কোনও অংশ নয় বলে মনে করেন হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি বলেছেন,‘এটি গ্রাম-বাংলার খেটে খাওয়া কোটি কোটি মানুষের দারিদ্রর সঙ্গে উপহাস ছাড়া আর কিছু নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সামাজিক রীতি ও নীতি-আদর্শকে ফুটিয়ে তোলে এবং যে আনন্দে প্রায় সবাই শরীক হতে পারে জাতীয় সংস্কৃতি ও আনন্দ হতে হবে এমন।’