বুরাহান ওয়ানি ছিলেন স্বাধীনতাকামী কাশ্মিরের বিপ্লবের প্রতীক: মিরওয়াইজ

ডেস্ক: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের হুররিয়াত নেতা মিরওয়াইজ ওমর ফারুক বলেছেন, বুরাহান ওয়ানি ছিলেন স্বাধীনতাকামী কাশ্মিরের প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতীক এবং তার হত্যাকাণ্ডে এ উপত্যকার তরুণদেরকে স্বাধীনতার আন্দোলনে যোগ দিতে উৎসাহিত করবে। ভারতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন হুররিয়াত নেতা মিরওয়াইজ ওমর ফারুক।

রোববার প্রকাশিত এ সাক্ষাৎকারে মিরওয়াইজ কাশ্মিরের সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগদানকারী তরুণদের সম্পর্কেও কথা বলেন। তিনি বলেন, এরা হলো কাশ্মিরের শিক্ষিত তরুণ এবং প্রতিরোধ আন্দোলনে জড়িত এ মাটির সন্তান। এ সব তরুণকে প্রশিক্ষণ নিতে কাশ্মিরের বাইরে কোথাও যেতে হয় না বা তাদেরকে কেউ পর্দার আড়াল থেকে সহায়তাও করছে না বলে জানান তিনি।

কাশ্মিরের পিডিপি-বিজেপি জোট সরকার সেখানকার সমস্যাকে আরো গভীর করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, কাশ্মিরের মানুষ মনে করে সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক ভাবে তাদের কর্তৃত্ব খর্ব করছে ভারত। কাশ্মিরের মানুষ প্রতিরোধ আন্দোলনকে রাজনৈতিক পর্যায়ে সীমিত রাখতে চেয়েছিল কিন্তু শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ আন্দোলনের কোনো সুযোগ কাশ্মিরে নেই বলেও জানান তিনি। কাশ্মিরের জোট সরকারের শরিকরা আর সেখানকার স্বশাসন নিয়ে কোনো কথা বলছে না বলেও জানান মিরওয়াইজ।

রাজনৈতিক তৎপরতার সুযোগ না থাকায় কাশ্মিরের তরুণরা অস্ত্র তুলে নিচ্ছে। বিশেষ করে ২০১০ সালে কাশ্মিরের রাজপথের আন্দোলন নিরাপত্তা বাহিনী স্তব্ধ করে দেয়ার পর এমনটি ঘটছে বলে জানান তিনি।

ছবি: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামী নেতা বুরহান ওয়ানি

৯ জুলাই (২০১৬) ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরকে স্বাধীন করার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী শীর্ষস্থানীয় নেতা বুরহান মুজাফফর ওয়ানিকে হত্যা করেছে ভারতীয় সেনা। ২২ বছর বয়সী এ তরুণের ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’কে কেন্দ্র করে সেদিন রণক্ষেত্রে পরিণত হয় কাশ্মীর উপত্যকা।

এ দিন বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশ চৌকিতে হামলা চালায়, নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছুড়তে থাকে। শ্রীনগর ও দক্ষিণ কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ সময় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় অন্তত ১১ জনের। ৯৪ পুলিশসহ আহত হন অন্তত ২০০ জন। কুলগানের বিজেপি অফিসেও হামলা চালায় জনতা।

এ অবস্থায় দক্ষিণ কাশ্মীরের কিছু এলাকা ও শ্রীনগরের একটি বিশাল অংশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়।