মূর্তি সরানোয় ভাবমূর্তি নষ্ট হয়নি বরং ইসলাম ধর্মের প্রতি সম্মান দেখানো হয়েছে: আইনমন্ত্রী

ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের সামনে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপিত ভাস্কর্য সরানোয় বহির্বেশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এতে বরং ইসলামসহ অন্যান্য ধর্মের প্রতি সম্মান দেখানো হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ওয়ার্ল্ড নো টোব্যাকো ডে ২০১৭’ এর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

গ্রীক দেবী থেমিসের মূর্তি গত বছরের ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত হয়। পরে এটিকে সরানোর দাবি তুলে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। জনগণের এ দাবির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীও একমত পোষণ করেন।

অবশেষে দেরিতে হলেও গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকালে প্রধান বিচারক সুরেন্দ্র কুমার সিনহা জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করে ভাস্কর্যটি সরানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ওইদিন রাতেই সরানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।

এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট কিংবা মৌলবাদীদের উত্থান হবে কি-না- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যতোটুকু আমি জেনেছি, প্রধান বিচারপতি এটি সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন’।

‘যারা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, আমি তাদেরকে শুধু এ কথাই বলবো, এই মূর্তিটি, আমরা যে থেমিস বলি, এটির আসল রুপ না। সেক্ষেত্রে এটি কোনো মূর্তিই ছিলো না বলে আমার মনে হয়। এবং এই মূর্তিটা সরিয়ে বরঞ্চ ইসলাম ধর্মসহ অন্যান্য ধর্মকে সম্মান করা হয়েছে’।

আনিসুল হক বলেন, ‘এখানে আসল থেমিসকে বিকৃত করা হয়েছে। বিকৃতি থেকে সরে আসতে চাই। বিকৃতির সব সময় নিন্দা করি। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়নি’।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক সমকালের উপসম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন। এ ছাড়া ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের পরামর্শক শরিফুল আলম, আত্মার আহ্বায়ক মর্তুজা হায়দার লিটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।