জাতীয় প্রেসক্লাবে সুন্নতি সামগ্রীর আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার: মহাসম্মানিত সুন্নত সারাবিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সুন্নতি খাবার, তৈজসপত্র, পোশাক পরিচ্ছদসহ বিভিন্ন সুন্নতি সামগ্রীর এক বিশেষ প্রদর্শনী ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রদর্শনীতে প্রায় ৪০টি সুন্নতি খাবারসহ ৬৩টি সুন্নতি সামগ্রী প্রদর্শিত হয়।

রাজারবাগ দরবার শরীফের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্রের উদ্যোগে এবং আল মুত্বমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতালের সৌজন্যে উক্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে সুন্নতের ফাযায়িল ফযীলত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মুফতিয়ে আ’যম আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ আযীযুল্লাহ এবং মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা উনার মুহতামিম আল্লামা মুফতি মুহম্মদ আলমগীর হুসাইন। এছাড়া ব্যবহারিক জীবনে সুন্নতের উপকারিতা এবং অপরিহার্যতা নিয়ে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বিশিষ্ট চাঁদ ও মহাকাশ গবেষক, ফার্মাসিষ্ট এবিএম রুহুল হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, মুহম্মদ আবু বকর সিদ্দীক হাসান।
সেমিনার আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্র
সেমিনারে বক্তারা বলেন, রাসুল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমার পবিত্র সুন্নতকে মুহব্বত করলো সে আমাকে মুহব্বত করলো। আর আমাকে যে মুহব্বত করলো সে আমার সাথে পবিত্র জান্নাতে থাকবে।” সুবহানাল্লাহ! তাই যে ব্যক্তি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দেখানো আদর্শ তথা মহাসম্মানিত সুন্নত অনুযায়ী স্বীয় জীবনকে পরিচালিত করবে এবং মুহব্বত করবে, সে জান্নাত লাভ করবে।

সুন্নতের উপকারিতা এবং অপরিহার্যতা নিয়ে আলোচনায় বক্তারা বলেন, সুন্নত পালনের মধ্যেই রয়েছে সুস্থতাসহ সকল কামিয়াবি। তারা বিভিন্ন ধরনের সুন্নতি খাবারের মধ্যে কয়েকটি খাবারের উপকারিতা তুলে ধরে বলেন, সুন্নতি খাবার তালবীনাহ একটি পরীক্ষিত পথ্য। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা দ্বারা বিভিন্ন রোগ-ব্যাধিসমূহের শেফায় (রোগমুক্তিতে) তালবীনার আশ্চর্যজনক উপকারিতা প্রমাণিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্র, রাজারবাগ দরবার শরীফ
বক্তারা আরো বলেন, পবিত্র সুন্নত মুবারক আমলের মাধ্যমে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুহব্বত করা সম্ভব। কেননা মুহব্বতের অপর নাম অনুসরণ, এখন কোনো ব্যক্তি যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করতে পারে, তাহলে তার জন্য নাজাত অবধারিত।

এছাড়া প্রদর্শনীতে অন্যান্য সুন্নতি সামগ্রীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- গরু-খাসির দস্তরখানা, কাঠের প্লেট, কাঠের বাটি, কাঠের গামলা, চামড়ার সুন্নতি নালাইন বা স্যান্ডেল, চামড়ার মোজা, চামড়ার বালিশ, ইসমিদ সুরমা, রুমাল, ইজার, কোরতা, পাগড়ি ইত্যাদির পাশাপাশি সুন্নতি খাবার তালবীনাহ, নাবীয, ছারীদ, কিসসা, সিরকা, জয়তুন তেল, কালোজিরা, কালোজিরা তেল, মধু ইত্যাদি।

প্রদর্শনীতে সাংবাদিক ও আগন্তুকদের ব্যাপক আগ্রহ, উদ্দীপনা ও উপচে পড়া ভীড় লক্ষনীয় ছিল৷

সেমিনারের শেষ পর্বে পবিত্র মিলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফপরিচালনা করেন মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও ইয়াতিমখানার ছাত্র হাফিয মুহম্মদ জাহিদ রেযা। এরপর দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রধান গবেষক মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ গবেষনা কেন্দ্র মুফতিয়ে আযম আবুল খায়ের মুহম্মদ আযীজুল্লাহ। মোনাজাতে চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহত ও আহতদের জন্য বিশেষভাবে দোয়া প্রার্থনা করা হয়।
দোয়া ও মুনাজাতে শরিক হন বিশিষ্ট আইনজীবী মুহম্মদ তৈমুর আলম খন্দকার। তাবারক বিতরনের মধ্য দিয়ে বর্নাঢ্য এই সেমিনারের পরিসমাপ্তি ঘটে৷