রেলের আধুনিকায়নে বড় আকারের ঋণ নেবে ভারত

ডেস্ক: ভারতের রেলসেবা আধুনিকায়নের অভূতপূর্ব পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ইন্ডিয়ান রেলওয়েজ। এ খাতে বিনিয়োগের লক্ষ্যে একটি তহবিল গড়ে তোলা হবে, যার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত রেল পরিষেবা সংস্থাটিকে বিশাল আকারের ঋণ নিতে হবে। খবর ব্লুমবার্গ।

রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু বলেছেন, পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার (২ লাখ ৫০ হাজার কোটি রুপি) ঋণ নেয়ার প্রয়োজন হবে। ঋণের এ আকার বিশ্বের অনেক দেশের জিডিপির আকারকেও ছাড়িয়ে যাবে। শুধু সেবার মান নয়, বরং বিজ্ঞাপন ও জমি ইজারা দেয়ার মাধ্যমে যাত্রীভাড়ার বাইরে কীভাবে আয় বাড়ানো যায়, সে ব্যাপারটিও পর্যালোচনা করছে ইন্ডিয়ান রেলওয়েজ।

প্রভু বলেন, ‘শিগগিরই আমাদের বেশির ভাগ ট্রেন এবং স্টেশন বিজ্ঞাপন ও ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য উন্মুক্ত করে দেব। ইন্ডিয়ান রেলওয়েজের অধীন প্রচুর জমি রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে ইজারা দেয়া বা বাণিজ্যিক ব্যবহারের মাধ্যমে সেখান থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আয় করা সম্ভব।’

ভারতের রয়েছে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেলপথ নেটওয়ার্ক। এর ভিত্তি স্থাপন হয় একুশ শতকে; ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে। ইন্ডিয়ান রেলওয়েজ প্রতিদিন অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যার প্রায় সমানসংখ্যক যাত্রী পরিবহন করে। এত বেশি যাত্রীর চাপ সামলানোর লক্ষ্যে প্রাচীন রেল অবকাঠামো আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার। নতুন রেলপথ নির্মাণ, দ্রুতগামী ট্রেন চালু ও স্টেশনগুলোর আধুনিকায়নে ৮ লাখ ৬০ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগের লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।

পাঁচ বছর মেয়াদি রেল উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয়নির্বাহের জন্য নরেন্দ্র মোদির প্রশাসন অনেকাংশেই সরকারি ব্যয় ও ঋণের ওপর নির্ভর করছে। এছাড়া বেসরকারি খাত থেকে ১ লাখ কোটি রুপি আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইন্ডিয়ান রেলওয়েজের রাজস্বের বেশির ভাগই খরচ হয় পরিচালন ব্যয়নির্বাহের কাজে। সেখানে যাত্রীভাড়া বাড়ানোও বেশ কঠিন। এ কারণেই সংস্থাটি আয় বাড়ানোর উপায় হিসেবে বিজ্ঞাপন ও ব্যান্ডিংয়ের দিকে নজর দিয়েছে।