মুহম্মদ বা আহমদ নামের মহত্ম

আল্লামা মাসউদুর রহমান: মানুষের নাম তার স্বভাব চরিত্রের উপর প্রভাব ফেলে। এজন্য বাচ্চাদের সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখতে হয়। এটা পিতা মাতার প্রতি সন্তানের হক্ব (অধিকার)।

যেকোনো মুসলমানের জন্য উৎকৃষ্ট নাম হল মুহম্মদ বা আহমদ। সন্তানের নামের সাথে মুহম্মদ বা আহমদ যুক্ত করা সন্তান এবং পিতামাতা উভয়ের জন্য নাযাতের কারন।

যেমন, এ প্রসঙ্গে হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, সাইয়্যিদুল মুরসালিন ইমামুল মুরসালিন ইমামুল মুরসালিন, খতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ  করেন- মহান আল্লাহ উনার সামনে দু’ব্যাক্তিকে দন্ডয়মান করানো হবে, (অর্থাৎ যাদের একজনের নাম মুহম্মদ অপরজনর নাম আহমদ)। মহান আল্লাহ পাক তাদের জান্নাতে প্রবেশ করানোর হুকুম দিবেন। এতে অবাক হয়ে উক্ত দু‘ব্যাক্তি আল্লাহ পাক উনার কাছে আরয করবেন,হে বারী ইলাহী! কোন্ জিনিস আমাদেরকে জান্নাতের অধিকারী ও উপযুক্ত করল? আমরা তো কোন নেক আমল করিনি। তাদের কথা শুনে খলিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক বলবেন, যাও তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করো। কেননা আমি স্বয়ং জাত পাকের কসম করে বলছি যে, আমি ঐ ব্যাক্তিকে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করাবনা, যার নাম হবে আহমদ বা মুহম্মদ। সুবহানাল্লাহ! (যাহরুল ফিরদাউস৪র্থ খন্ড ৪২পৃষ্ঠা)

হযরত জাফর ইবনে মুহম্মদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু রেওয়ায়েত করেছেন- ক্বিয়ামতের দিন,ইয়া মুহম্মদ বলে ডাকা হবে। তখন যে সমস্ত ব্যাক্তির নাম মুহম্মদ ছিল,তারা সকলে মাথা উঠাবে। আল্লাহ পাক বলবেন,তোমরা সাক্ষী থাক যে, যারা আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার নাম মুবারকের অনুসরণে যারা নাম রেখেছে তাদের প্রত্যেককে আমি ক্ষমা করলাম। সুবহানাল্লাহ!