এফএম রেডিও: ঢাকায় নতুন লাইসেন্স না দেয়ার সিদ্ধান্ত

ঢাকা: রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বরাদ্দের জন্য এফএম ব্যান্ডে শুধু ছয়টি নির্দিষ্ট তরঙ্গ খালি রয়েছে। এ তরঙ্গ সংরক্ষিত করা হয়েছে জনগুরুত্বসম্পন্ন ও রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহারের জন্য। এ অবস্থায় রাজধানীতে নতুন কোনো বাণিজ্যিক এফএম রেডিওকে তরঙ্গ বরাদ্দ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আর দেশের অন্য স্থানে প্রাপ্যতা সাপেক্ষে এ তরঙ্গ বরাদ্দ দেবে কমিশন।

এফএম বেতারকেন্দ্র স্থাপন, সম্প্রচার ও পরিচালনা নীতিমালা ২০১০ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্প্রচারের লাইসেন্স দেয়া হয় তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে। আর লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠানের আবেদনের ভিত্তিতে তরঙ্গ বরাদ্দ দেয় বিটিআরসি। জাতীয় তরঙ্গ বরাদ্দ নীতিমালা (এনএফপি) অনুসরণের মাধ্যমে এ তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়া হয়। এনএফপিতে ৮৭-১০৮ মেগাহার্টজ এফএম তরঙ্গ হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে।

জানা গেছে, বর্তমানে যে ছয়টি নির্দিষ্ট তরঙ্গ খালি রয়েছে তা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও শিক্ষাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। তাই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বরাদ্দের জন্য তরঙ্গ খালি না থাকায় রাজধানীতে বেসরকারি মালিকানায় নতুন কোনো এফএম রেডিওকে লাইসেন্স না দেয়ার বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে বিটিআরসি। আর দেশের অন্য স্থানে তরঙ্গের প্রাপ্যতা সাপেক্ষে সম্প্রচারের লাইসেন্স দিতে অনুরোধ করেছে কমিশন। এজন্য বিটিআরসির মাধ্যমে তরঙ্গের প্রাপ্যতা যাচাইয়ের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, তরঙ্গ মূল্যবান ও সীমিত জাতীয় সম্পদ। এজন্য দক্ষতার সঙ্গে এটির ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বর্তমানে এফএম ব্যান্ডে যে তরঙ্গ খালি রয়েছে, তা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। ফলে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য ব্যান্ডটিতে তরঙ্গ খালি নেই।

সম্প্রচারের জন্য প্রতিটি এফএম রেডিও স্টেশনকে ২০০ কিলোহার্টজ করে তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়া হয়। একই স্থানে পারস্পরিক তরঙ্গের প্রতিবন্ধকতা এড়াতে দুটি রেডিও স্টেশনের মধ্যে ২০০ কিলোহার্টজ তরঙ্গ খালি রাখা হয়। বার্ষিক তরঙ্গ ফি হিসেবে প্রতি কিলোহার্টজের জন্য ফি নেয়া হয় ১ হাজার টাকা করে।

বেসরকারি খাতে বাণিজ্যিকভাবে এফএম রেডিও স্টেশন হিসেবে ২০০৬ সালে সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু করে রেডিও টুডে ও রেডিও ফুর্তি। প্রতিষ্ঠান দুটি ছাড়াও এফএম লাইসেন্সের আওতায় তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৬টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে। সম্প্রতি আরো ১৪টি এফএম রেডিওর অনুমোদন দিয়েছে সরকার।