হলি আর্টিজান বেকারির সিসি ক্যামেরায় যা ধরা পড়লো

হলি আর্টিজান বেকারি ক্যাফে
ঢাকা: গুলশানের ঘটনার তদন্ত তদারকি করছে এমন একটি গোয়েন্দা সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, হলি আর্টিজান বেকারির ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার পুরনো ফুটেজ থেকে দেখা যায়, হামলার আগে অন্তত দুই বার তিন জন করে ওই বেকারিতে গিয়েছিল। সর্বশেষ দুই দিন আগে হামলাকারী তিন যুবক আর্টিজানে যান। বেকারির বাবুর্চির সহকারী শাওনের সঙ্গে তাদের কথা বলার দৃশ্য সিসিটিভিতে রয়েছে। যে কারণে শুরু থেকেই শাওনকে সন্দেহে রেখেছিলেন গোয়েন্দারা। পরে অবশ্য চিকিত্সাধীন অবস্থায় শাওন মারা গেছেন। হামলাকারীদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হলেও শেষ পর্যন্ত দেখা যায় পাঁচজন হামলাকারীই বেকারিতে ঢুকেছিল। যাদের সবাই কমান্ডো অভিযানে গুলিতে মারা গেছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হামলার দুই মাস আগে বনানীতে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির বাড়ির একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় তরুণরা। সেখান থেকেই তারা হামলার ছক কষে। এই প্রভাবশালীর সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। কেন তিনি ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়ার তথ্য পুলিশকে জানাননি। জবাবে তিনি বলেছেন, কেয়ারটেকারই ভাড়া দিয়েছিল। ওই কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে গোয়েন্দারা। তবে তার কাছ থেকে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
হলি আর্টিজানের ঘটনার তদন্ত করছেন এমন একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘হামলাকারীদের ব্যবহার করা একটি পাজেরো জিপ ঘটনার পর থেকে সেখানে ছিল। কমান্ডো অভিযানের সময় জিপটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকে জিপটি পাওয়া যাচ্ছে না।’ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জিপটি আসলে কোথায় গেল সে রহস্যের কিনারা হচ্ছে না। পাশাপাশি ওই দিন হলি আর্টিজানের বাইরে যে গাড়িগুলো ছিল সেগুলো কারা নিয়েছিল সে বিষয়েও খোঁজ-খবর করা হচ্ছে।’
গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, হামলাকারীরা প্রথমে টার্গেট করেছিল একটি পাঁচ তারকা হোটেল। কিন্তু হোটেলের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে ভেতরে ঢোকার পর কতজন বিদেশি পাওয়া যাবে সেটা নিয়ে নিশ্চিত হতে পরেনি তারা। তাই অপেক্ষাকৃত বেশি বিদেশি পাওয়া যায় এমন রেস্টুরেন্ট পছন্দ করে। এমন আরো দু’টি তিনটি রেস্টুরেন্ট রেকি করলেও শেষ অবধি বেছে নেয় হলি আর্টিজানকে। কারণ সন্ধ্যার পর এই রেস্টুরেন্টে বিপুল সংখ্যক বিদেশি অবস্থান করেন। সেটা নিশ্চিত হয়েই তারা হামলা চালায়।