জ্বালানি খাতে ভারতের সঙ্গে অর্ধ ডজন চুক্তির প্রস্তুতি বাংলাদেশের

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন নয়াদিল্লী সফরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রায় অর্ধ ডজনেরও বেশি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। আগামী সোমবার নাগাদ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চুক্তিগুলো চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি জানান, এরই মধ্যে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ, পাইপ লাইনে ডিজেল আমদানি ও ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের সঙ্গে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি ও সমঝোতার বিষয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে ঢাকা-নয়াদিল্লী।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন- স্বার্থ বজায় রেখে পারস্পরিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে জ্বালানি আমদানিতে লাভবান হবে বাংলাদেশ।

২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর মাত্র ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সম্পর্কের সূচনা করে বাংলাদেশ ও ভারত।

সেসময় ভারত থেকে গ্রিড-ইন্টারকানেকশনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি হলেও, গেলো বছরের মার্চ থেকে আরও ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসছে ত্রিপুরা থেকে ।

প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কন্নোয়নের সুযোগ সবদিক থেকেই কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। গেলো বছরে তাই ভারতের নুমালিগড় থেকে সহযোগিতার স্মারক হিসেবে ডিজেল ভর্তি রেলওয়াগনও দিনাজপুরের পার্বতীপুরে পৌঁছায়। কয়েক দফায় পিছিয়ে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরে জ্বালানি সহযোগিতা বিনিময়ে তাই বেশ তৎপর মন্ত্রণালয়।

শনিবার সকালে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের জানান, এ পর্যন্ত তিনটি বিষয়ে চুক্তি কিংবা সমঝোতা স্মারক সইয়ে প্রস্তুত দু’দেশ।

তিনি আরও জানান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিনিময়ের ক্ষেত্রে ভুটান-ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিদেশীয় সম্ভাবনার বিষয়টিও এবারের সফরে প্রাধান্য পেতে পাবে।

এদিকে, বিদ্যুৎ-জ্বালানি তেল আমদানি, স্থল ভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণসহ এসব চুক্তি সম্পাদনে দেশের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় রাখা গেলে তা দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

তাঁদের মতে, জ্বালানির মতো কৌশলগত এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ছাড় ও সুবিধার হিসেব মিলাতে হবে সতর্কতার সাথে।-সময় টিভি