প্রত্যাবাসন শুরুর আগেই রোহিঙ্গা ঠেকাতে তৎপর বৌদ্ধরা

ডেস্ক: ঢাকা-নেপিডো চুক্তি সম্পন্ন হলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এখনও শুরু হয়নি। কেউ ফিরে যাওয়ার আগেই সেখানকার বৌদ্ধরা বিরোধিতা শুরু করেছে। মংডু জেলার ছয়টি স্থানে ফেরত নেয়া রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্তে আবারো হামলার হুমকি দিয়েছে তারা। অরিগনভিত্তিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউরোএশিয়ারিভিউ জানিয়েছে, ওই সম্প্রদায়ের পক্ষে একটি নাগরিক প্রতিনিধিদল মিয়ানমার সরকারকে এরইমধ্যে তাদের আপত্তিগুলো জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে, প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় ফেরত যাওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য রাখাইনের মংডু জেলার কয়েকটি ক্ষুদ্র স্থানে বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে মিয়ানমার। এ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থান জানাতে রাজধানী সিত্তেতে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে এক বৈঠকে বসে ৮০ জন বৌদ্ধ প্রতিনিধি।
আরাকান (রাখাইন) থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিতে এবং তাদের ফেরার সমস্ত পথ বন্ধ করতে আরসার হামলার আগে থেকেই পরিকল্পিত সেনা-অভিযান শুরু হয়েছিল। অতীতের ধারাবাহিকতায় স্থানীয়দের রোহিঙ্গাবিদ্বেষী করে তুলতে সেখানে সেনা-প্রচারণা হয়েছে এবারের নিধনযজ্ঞেও।

সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সমাজের অভ্যন্তরে সেনাবাহিনীর ছড়িয়ে দেয়া বিদ্বেষকেই রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের কারণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
বিদ্বেষী প্রচারণার মধ্য দিয়ে রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সেখানকার বৌদ্ধদের ঘৃণার চাষাবাদ হয়েছে দীর্ঘদিন। বিদ্বেষের শেকড় তাই দিনকে দিন আরও শক্ত হয়েছে। মিয়ানমারের অধিবাসী হলেও রোহিঙ্গাদেরকে বেশিরভাগ রাখাইন বৌদ্ধ বাংলাদেশ থেকে সেখানে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী বিবেচনা করে।

২০১৭ সালে শেষ থেকে মিয়ানমার সরকার ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কমপক্ষে ৪৫৫টি গ্রামের সব অবকাঠামো ও ফসলের ক্ষেত ধ্বংস করে দিয়েছে।
সম্প্রতি রাখাইন রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করতে ১৫ মিলিয়ন ডলারের অনুমোদন দিয়েছে মিয়ানমারের সংসদ। বুলডোজার ব্যবহার করে রোহিঙ্গা বসবাসের স্মৃতি ও আইনগতভাবে সেখানে কারা বসবাস করতো তার পরিচয় মুছে ফেলার হুমকি তৈরি করেছে মিয়ানমার।