বাংলাদেশ হয়ে এলপিজি যাবে ত্রিপুরায়
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের অবকাঠামো ব্যবহার করে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি পরিবহনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পথে। ইতোমধ্যেই এলপিজির একটি পরীক্ষামূলক চালান ত্রিপুরায় পৌঁছেছে। সব ধরনের নীতিমালা চূড়ান্ত হলে আগামী অক্টোবর কিংবা নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ হয়ে এলপিজির বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হবে বলে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছে।
ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়ার গত ২৫ অগাস্ট এক প্রতিবেদনে বলছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশের মোংলা নদী বন্দর ব্যবহার করে ত্রিপুরায় এলপিজি সরবরাহের জন্য একটি সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। ফলে আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে এলপিজি সরবরাহ শুরু হবে।
যোগাযোগ করা হলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (চুক্তি ও প্রটোকল) মুহিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামো ব্যবহার করে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহন নিয়ে একটি প্রক্রিয়া এগুচ্ছে। তিনিসহ বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল ভারতে সফরে গেলে সেখানে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়া পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশের কী অংশীদারিত্ব থাকবে এবং এর শর্তাবলী কেমন হবে অর্থাৎ স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল প্রসিডিউর বা এসওপির খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্য থেকে এলপিজি আমদানি করে তা বাংলাদেশের বন্দর ও সড়ক ব্যবহার করে ত্রিপুরা ও অন্যান্য রাজ্যগুলোতে পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে অংশে পণ্য পরিবহনের দায়িত্বে থাকবে বাংলাদেশে কোম্পানিগুলো।
বেক্সিমকো এলপিজি ইউনিট-১ এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মুনতাসির আলম বলেন, তারা বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে ত্রিপুরায় এলপিজি রপ্তানি করতে যাচ্ছেন। আমদানি, রপ্তানি, পরিবহন এবং শুল্কসংক্রান্ত বিষয়াদি চূড়ান্ত হলে আগামী অক্টোবর কিংবা নভেম্বর মাসে এই রপ্তানি শুরু হতে পারে, বলেন তিনি। ইতোমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে গত আগস্ট মাসে বেক্সিমকো এলপিজি একটি চালান ভারতের ত্রিপুরায় পাঠিয়েছে।