‘৮০ লাখ টাকায় আমার নৌকা বিক্রি হয়েছে’

নোয়াখালী সংবাদাদাতা: ‘আমি নৌকা পেয়েছি। আমার প্রতি আওয়ামী লীগের সমর্থন ছিল। বিজ্ঞপ্তিতে আমার নাম এসেছে। টাকার কাছে কামাল উদ্দিনের নৌকা বিক্রি হয়েছে কামাল খানের কাছে। শুনেছি ৮০ লাখ টাকায় আমার নৌকা বিক্রি হয়ে গেছে।

শুক্রবার নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায়র ধানসিঁড়ি ইউনিয়নে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল উদ্দিন।

তিনি আরও বলেন, আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। যদি দল আমাকে সমর্থন না করে তাহলে আমার আপত্তি নাই। কিন্তু আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার পর কীভাবে সেটা পরিবর্তন হয় তা আমি জানি না। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানাচ্ছি উনি যেন সঠিক তদন্ত করে এর আসল রহস্য বের করেন।

মানববন্ধনে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলীল বলেন, দলীয় মনোনয়ন নিয়ে যারা রাজনীতি করেছে তারা আওয়ামী লীগের সম্মানহানি করতে চাচ্ছে। আমাদের সবার দাবি কামাল উদ্দিনের নৌকা কামাল উদ্দিনকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক সাহাব উদ্দিন বলেন, কামাল খান ভারত থেকে এসেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন না। কোনো দিন আওয়ামী লীগে যোগদান করেন নাই। কিন্তু আজ তিনি নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। এটা প্রকৃত আওয়ামী লীগের মানুষজনের জন্য লজ্জার বিষয়। আমরা চাই যিনি প্রকৃত আওয়ামী লীগ করেন তাকেই যেনো নৌকা প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

নৌকা প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে মানববন্ধনে ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী কামাল উদ্দিনের নাম ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। কিন্তু নৌকা প্রতীকে প্রচারণা চালাচ্ছেন কামাল খান। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।

মো. কামাল উদ্দিন ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামের হাজী বজলুর রহমানের ছেলে। মোহাম্মদ কামাল খান একই ইউনিয়নের দক্ষিণ জগানন্দ গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স তাহের টিটু বলেন, যেন সার্কাসের শেষ নেই। ‘কামাল উদ্দিন’ নাম হয়ে যাচ্ছে ‘কামাল খান’। এই কামাল খান কখনো আওয়ামী লীগ করেন নাই। তিনি ভারত থেকে এসেছেন। আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি, এটা আমাদের জন্য খুব কষ্টের। অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী থাকার পরও এমন কিছু আমাদের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।