স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হলো ১৫ ব্যক্তি ও নৌবাহিনীকে

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ঢাকা: বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ অবদানের জন্য মোট ১৫ ব্যক্তি ও ১ প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পুরস্কার তুলে দেন।

এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন, ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে কাজ করার সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কাজ করতে পাকিস্তান পক্ষ ত্যাগকারী ও মুক্তিযুদ্ধকালে বিদেশে জনমত তৈরির জন্য সংগঠক হিসেবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী এম ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, সফল রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট সমাজকর্মী মরহুম মৌলভী আচমত আলী খান (মরণোত্তর), দেশের স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠন প্রক্রিয়ায় বিশেষ ভূমিকা পালনকারী এফ-৬ সুপারসনিক বিমানের পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) বদরুল আলম বীরোত্তম।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- ১৯৭১ সালে রাজশাহী পুলিশ লাইনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর হামলার প্রতিরোধে পুলিশ বাহিনী গঠনকারী রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার শহীদ শাহ আবদুল মজিদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে নেতৃত্ব দানকালে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর হাতে শাহাদাত বরণকারী রাঙ্গামাটির মহকুমা প্রশাসক এম আবদুল আলী (মরণোত্তর), ১৯৭১ সালে হাতে বাংলাদেশের সংবিধান লেখক ও লন্ডনে পাকিস্তান হাইকমিশনে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পাকিস্তান পক্ষ ত্যাগকারী মরহুম এ কে এম আবদুর রউফ (মরণোত্তর), ১৯৭১ সালে দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পাকিস্তান পক্ষ ত্যাগকারী ও দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রথম মিশন প্রতিষ্ঠাকারী মরহুম কে এম শিহাব উদ্দিন (মরণোত্তর) এবং মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সংগঠনে বিশেষ ভূমিকা পালনকারী সৈয়দ হাসান ইমাম।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির (২১ ফেব্রুয়ারি) স্বীকৃতি লাভের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য মরহুম রফিকুল ইসলাম (মরণোত্তর) ও আবদুস সালাম পেয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে আরও রয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তোষা ও স্থানীয় জাতের পাটের জেনোম সিকুয়েন্স আবিস্কারের জন্য কৃষি গবেষক মরহুম অধ্যাপক মাকসুদুল আলম (মরণোত্তর) এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ রাফি খান (এমআর খান)।

সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে কাজের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে কবি নির্মলেন্দু গুণ এবং রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী ও গবেষক রেজোয়ানা চৌধুরী বন্যা স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।

এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান এবং দেশের সমুদ্রসীমার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় নিরলস প্রয়াস চালানোর জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়।

মনোনীতরা প্রত্যেকে একটি স্বর্ণপদক এবং পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে দুই লাখ টাকার চেক পেয়েছেন।

স্বাধীনতা পদক দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতি বছর স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয়। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।