সাড়ে সাড়ে ৩৩ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ (মিলিয়ন মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। প্রতি ইউনিটের দাম ৯.৫৩ ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ৩১৮ কোটি ২৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সেলারেট এনার্জি এলপি এসব এলএনজি সরবরাহ করবে।

সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০ (২০১৮ সালের সর্বশেষ সংশোধনীসহ) এর আওতায় মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মধ্য থেকে কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমাদনি সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে।

দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য কাতার গ্যাস ও ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের (ওকিউটি) সঙ্গে দুটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির মাধ্যমে এলএনজি আমদানির পাশাপাশি স্পট মার্কেট থেকেও এলএনজি কেনা করা হচ্ছে। স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনার লক্ষ্যে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এমএসপিএ প্রস্তুত করে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের ভেটিং নেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এমএসপিএ চূড়ান্ত করা হয়। পরে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদনের ভিত্তিতে পেট্রোবাংলা এমএসপিএ অনুস্বাক্ষরকারী ১৪টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চূড়ান্ত করা এমএসপিএ স্বাক্ষর করে।

চলমান সেচ মৌসুমে (মার্চ, এপ্রিল ও মে) নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দৈনিক ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি প্রয়োজন। এজন্য দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় এলএনজি আমদানির পাশাপাশি স্পট মার্কেট থেকে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে তিনটি এলএনজি কার্গো আমদানির জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মে মাসের জন্য স্পট মার্কেট থেকে কমপক্ষে তিনটি এলএনজি কার্গো গ্রহণ করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে ২০২১ সালের মে মাসের জন্য দুইটি স্পট এলএনজি কার্গোর প্রত্যাশা অনুমোদন পাওয়া গেছে।