সরকারের কথায় বাজার চলে না

নিজস্ব প্রতিবেদক: গোটা দেশ কার্যত লকডাউনের পর বাজারগুলোতে নিত্যপণ্যের দামের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারি আদেশ বা যাবতীয় নির্দেশনা সেখানে কার্যত অচল। সরকারের ঠিক করে দেওয়া দরে চাল পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে না। পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল, ছোলা, চিনি, মসুর ডালের মতো নিত্যপণ্যও সরকারের নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে পাওয়া গেছে এ তথ্য।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল ভোজ্যতেলসহ ৬টি পণ্যের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আগেই ঠিক করে দিয়েছিল সয়াবিন তেলের দাম। চিনি, পেঁয়াজ, ছোলা, উন্নতমানের মসুর ডাল, সাধারণ মসুর ডাল ও খেজুরের দাম নির্ধারণ করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা কৃষি বিপণন অধিদফতর। দর নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্তও নেয় সরকার। গত সোমবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর কৃষি বিপণন অধিদফতর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মুহম্মদ ইউসুফ।

নির্ধারিত দাম অনুয়ায়ী খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম হওয়ার কথা সর্বোচ্চ ৪০ টাকা, চিনি ৬৭ থেকে ৬৮ টাকা, ছোলা ৬৩ থেকে ৬৭ টাকা, উন্নতমানের মসুর ডাল ৯৭ থেকে ১০৩ টাকা, সাধারণ মসুর ৬১ থেকে ৬৫ টাকা, সাধারণ মানের খেজুর ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মধ্যম মানের খেজুর ২০০ থেকে ২৫০ টাকা এবং সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৩৯ টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক জানান, এই দর বাস্তবায়নে রাজধানীতে ৩০টি মোবাইল টিম কাজ করছে। কোনও পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অধিদফতর প্রতিবছর ৪১টি নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণে কাজ করে। দেশের উৎপাদন, আমদানি, ক্রয়মূল্য, মজুদ ও চাহিদার তথ্য বিবেচনায় নিয়ে পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান মহাপরিচালক।

কিন্তু রাজধানীর বাজারগুলোয় মোবাইল টিমের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। কৃষি বিপণন অধিদফতরের কোনও মনিটরং টিম বাজারে নেমেছে বলেও শোনা যায়নি। এ বিষয়ে কেউ কোনও তথ্যও দিতে পারছে না। বিক্রেতারা জানেনই না যে সরকারের একটি সংস্থা কয়েকটি পণ্যের দর ঠিক করে দিয়েছে। উল্টো তারা জানতে চান, কৃষি বিপণন অধিদফতর কিসের ভিত্তিতে এসব পণ্যের দর ঠিক করে?