সরকারি ভবন নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার: তদন্তে ‘প্রমাণ মিলেছে’

নিউজ নাইন২৪ডটকম, চুয়াডাঙ্গা: দর্শনায় স্বাস্থ্য বিভাগের ভবন নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহারের সত্যতা পাওয়া গেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস সাংবাদিকদের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটি এখনও প্রতিবেদন জমা দেয়নি।

জেলা প্রশাসনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মাণাধীন ওই ভবনের ঢালাইয়ে রড না দিয়ে বাঁশের ফালি এবং খোয়ার পরিবর্তে পরিত্যক্ত সুরকিসহ নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনটি ফরোয়ার্ডিংসহ খুলনা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্ত তিন সদস্যের কমিটির প্রধান হলেন ঢাকার খামারবাড়ির উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ উইং এর পরিচালক সৌমেন সাহা। অন্য সদস্যরা হলেন- ফাইটো স্যানিটরি ক্যাপাসিটি শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ মো. আইয়ুব হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নির্মল কুমার দে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাব্যবস্থাপক হামিদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সোমবার বিকালে ঢাকা থেকে আরেকটি টিম দর্শনায় নির্মাণাধীন ওই ভবন পরিদর্শন করার পর বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে। স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কার্যালয়ের জন্য দর্শনা পৌরসভার পাশে ৩ হাজার ৭৫০ বর্গফুট আয়তনের একটি আধুনিক মানের ল্যাবরেটরি ও অফিস ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয় গত বছরের ১ ডিসেম্বর।

অধিদপ্তরের ফাইটো স্যানিটারি ক্যাপাসিটি শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকায় ভবনটি নির্মাণ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকার ফার্মগেটের জয় ইন্টারন্যাশনাল। ইতিমধ্যে ভবনটির প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

উল্লেখ, গত বুধবার বিকালে জানা যায় ভবনের গুরুত্বপূর্ণ ঢালাইকাজে রডের বদলে বাঁশের ফালি এবং খোয়ার বদলে সুরকি ব্যবহার করা হয়েছে। এ সময় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে গাঁ ঢাকা দেন প্রকৌশলীসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক ও শ্রমিকরা। পরদিন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।