‘শিশুদের যেন মায়ের বামপাশে শোয়ানো হয়’

হযরত জাফর সাদিক আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র রওজা মোবারক

ইমতিয়াজ আহমদ নুরীঃ পবিত্র ইলমে লাদুন্নী বা খোদা প্রদত্ত জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ষষ্ঠ ইমাম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত জাফর সাদিক্ব আলাইহিস সালাম। মহান আল্লাহর তরফ থেকে প্রাপ্ত সেই ইলমের খনি থেকেই তিনি মায়েদের প্রতি নসিহত করেছেন যেন, মায়েরা তাঁদের শিশুকে বুকের বামপাশে শোয়ান।

এই উপদেশের মর্মার্থ যথাযথভাবে কেউ সে সময় উপলব্ধি করতে পারেনি। এমনকি ইউরোপের তথাকথিত রেনেসাঁর সময়কালীন সময়েও উনার এই উপদেশের মর্মার্থ উপলব্ধির অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এই তত্ত্বের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করতে তারা ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে আবার নিউইয়র্কের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নবজাতকের উপর গবেষণা পরিচালিত হয়। তারা পৃথিবীর বিভিন্নস্থানে পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পায় যে, যে সকল শিশু মায়ের বাম পার্শ্বে ঘুমায় সে সব শিশু সন্তানরা শান্তিপূর্ণভাবে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে। কিন্তু যে সব শিশু সন্তানরা তাদের মায়ের ডান পার্শ্বে ঘুমায় সে সব শিশু সন্তানরা যখন তখন ঘুম থেকে জেগে যায় এবং কান্নাকাটি করে।

হোলোগ্রাফী আবিষ্কারের পর জানা যায় যে, মাতৃগর্ভস্থ শিশুরা মাতৃদেহের বামপাশে অবস্থিত হৃদস্পন্দন শুনতে পায়। মায়ের হৃদস্পন্দন শিশুর অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য। মাতৃগর্ভস্থ শিশুদের কাছে মায়ের হৃদস্পন্দন মানে হলো তার জন্য অবিরত খাদ্যের যোগান আর হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়ার অর্থ হলো মৃত্যু। একজন নবজাতক যখন তার মায়ের বাম পার্শ্বে ঘুমায় যেখান থেকে সে তার মায়ের হৃদস্পন্দন স্পষ্টভাবে শুনতে পায়। ফলে সে শান্তিপূর্ণভাবে আরামদায়ক ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে।

এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জাফর সাদিক আলাইহিস সালাম তিনি অবলীলায় বলে দিলেন অথচ মুসলমানদের তথ্য-উপাত্ত চুরি করে মিথ্যা বিজ্ঞানী দাবিদাররা উনার বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব’র মর্মার্থ উপলব্ধি করতে সময় লেগেছে প্রায় ১১০০ বছর। তাহলে এটি সুস্পষ্ট যে ওই সকল বিজ্ঞানী দাবিদারদের আসলে বিজ্ঞানের কোনো বিষয়েই দখল নেই। বরং এই জালিয়াতগুলো মুসলমানদের তথ্য-উপাত্ত চুরি করে কিছু সরাসরি নিজেদের নামে চালিয়ে দিয়েছে নতুবা মুসলমান বিজ্ঞানীদের আসল নাম বিকৃত করে প্রচার করেছে।

লেখক: ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক।