রাজধানীতে বিটকয়েন ব্যবসায়ীসহ গ্রেফতার ১২

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে বিটকয়েন ব্যবসার মূলহোতাসহ অনলাইনে প্রতারণার অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গতকাল ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত রোববার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ বিটকয়েন ব্যবসার মূলহোতা কয়েন সুমনসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সুমন ছোট্ট একটি দোকানে কম্পিউটার বসিয়ে বাচ্চাদের কাপড় ও খেলনার ব্যবসা শুরু করে প্রথমে। সেখান থেকে ধীরে ধীরে গড়ে তোলে বেসিক বিজ মার্কেটিং নামক প্রতিষ্ঠান। আউটসোর্সিং মার্কেটিংয়ের এই প্রতিষ্ঠানের আড়ালেই চলছিল তার অবৈধ ‘বিট কয়েন’ ব্যবসা। বাংলাদেশে অবৈধ ‘বিট কয়েন’ ব্যবসার মূলহোতা ইসমাইল হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমনের রয়েছে একাধিক ভার্চুয়াল ওয়ালেট। যেখানে মজুত রয়েছে লক্ষাধিক ডলার। শুধু তা-ই নয়, বিট কয়েন ব্যবসার মাধ্যমে গড়েছেন ফ্ল্যাট, প্লট, সুপার শপসহ নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অবশেষে এই চক্রটিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

সুমন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স পাস করেন। ২০১৩ সালে ছোট্ট একটি দোকানে বাচ্চাদের খেলনা ও কাপড়ের ব্যবসা শুরু করে। সেখান থেকেই শুরু করে বিট কয়েনের ব্যবসা। গড়ে তোলে বেসিক বিজ মার্কেটিং নামক অনলাইন আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান। আর এর আড়ালে অবৈধ বিট কয়েন ও অনলাইনে বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন সুমন।

শুরুতে একটি ছোট অফিস থাকলেও তা বড় হয়, বাড্ডায় ৩টি ফ্লোরে ৩২ জন কর্মচারী নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলে সে। প্রতিষ্ঠানটি ৩টি শিফটে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। ভার্চুয়াল ওয়ালেটের মাধ্যমে অবৈধ ও প্রতারণামূলক ব্যবসা বিট কয়েনের মাধ্যমে সুমন বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে। ঢাকায় রয়েছে ২টি ফ্ল্যাট, প্লট, সুপার শপের ব্যবসা। এছাড়াও একাধিক ভার্চুয়াল ওয়ালেটে এক বছরে সে বিট কয়েনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ১২ থেকে ১৫ লাখ ডলার লেনদেন করেছে।

গ্রেফতার ইসমাইল হোসেন সুমন বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ই-মার্কেটিং সাইটে আকর্ষণীয় মূল্যে বিজ্ঞাপন প্রদান করতো। পরবর্তীতে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করতো। কেউ যদি তার পণ্য ক্রয় করতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতো, তা হ্যাক করে টাকা আত্মসাৎ করতো সুমন।