যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত ১ উপজাতি সন্ত্রাসী

বান্দরবন প্রতিনিধি:বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে জ্ঞান শংকর চাকমা নামে এক উপজাতি সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। র‌্যাব-৭ উপ-অধিনায়ক শাফায়াত জামিল ফাহিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের তুলাতলীর গহীন বনে যৌথবাহিনীর সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ তার মৃত্যু হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৭টি এসএমজি, ৪৩৭ রাউন্ড গুলি ও ১১ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাবের দাবি, জ্ঞান শংকর চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের সক্রিয় একটি সশস্ত্র সংগঠনের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী এবং রাঙ্গামাটি এলাকার চিফ কালেক্টর। সে রাঙ্গামাটি জেলার পৌর এলাকার হামেশ কুমারের ছেলে।
র‌্যাব আরও জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিরা অধিকতর নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বেশ কিছু অত্যাধুনিক অস্ত্র ক্রয় করে পুনরায় বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করবে উপজপজাতি সন্ত্রাসীরা। এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে ফাঁদ পাতে। এ সময় উপজাতি সন্ত্রাসীদের একটি দল সেনা টহলের তাড়া খেয়ে পালানোর সময় ফাঁদে প্রবেশ করে এবং ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে গহীন জঙ্গলে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে একটি মৃতদেহসহ ৭টি এসএমজি, ৪৩৭ রাউন্ড গুলি ও ১১ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়। মৃত ব্যক্তির পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে জানা যায় তার নাম জ্ঞান শংকর চাকমা।

উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে উপজেলা সদরে ফেরার পথে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ওপর উপজাতি সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় ০৭ জন নিহত হন এবং গুরুতর আহত হন আরও ১৯ জন।

ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনী উপজাতি সন্ত্রাসীদেরকে ধরতে যৌথ অভিযান শুরু করেছে যা এখনো অব্যহত রয়েছে। ওই হামলার পর সন্ত্রাসীরা সীমান্তবর্তী স্থানসহ গহীন পার্বত্য জঙ্গলে আত্মগোপন করেছে বলেও ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।