যা কিছু অর্জন তা সবই এ দেশের মানুষের দোয়ায়: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বসভায় তুলে আনা আমার লক্ষ্য ছিল। এটুকু বলবো, যা কিছু দেশের জন্য করতে পেরেছি, যা কিছু অর্জন, সবই এদেশের মানুষের সমর্থনে, এ দেশের মানুষের দোয়ায়।’

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে তিন সপ্তাহের সফর শেষে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন। শনিবার (৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের গণসংবর্ধনা মঞ্চে যান। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা স্বাধীনতা চায়নি তারা ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিতে চায়। তারা বাংলাদেশের জন্য কাজ করেনি, আখের গোছাতেই ব্যস্ত ছিল। তবে এখন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য ফিরতে শুরু করেছে। বিশ্বমন্দা থাকার পরও দেশকে এগিয়ে নিতে পারছি।’

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘মানুষ মানুষের জন্য। বিপন্ন মানুষকে আশ্রয় দেওয়া যেকোনও মানুষের দায়িত্ব। মানবেতর জীবনযাপন করছিল তারা (রোহিঙ্গারা), তাদের ওপর অত্যাচার চলছিল। প্রথমে যখন তারা আসছিল তখনও আমরা জানি না আসলে কী অবস্থা। যেভাবে গণহত্যা ঘটছে তা জেনে খুব স্বাভাবিকভাবে তাদের আশ্রয় দিতে হলো।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি প্রয়োজন হয় একবেলা খাবো, আরেকবেলার খাবার ওদের ভাগ করে দেবো। বাংলাদেশ যদি এ অবস্থান না নিতো তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এত দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারত না।’

রোহিঙ্গা ইস্যুতে উত্তেজনা তৈরির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একেবারে প্রতিবেশী দেশ এমন ভাব দেখালো, যেন আমাদের সঙ্গে যুদ্ধই বেধে যাবে। আমি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশকে সতর্ক করলাম। কোনও বিভ্রান্তি যেন না হয়। যতক্ষণ আমি নির্দেশ না দেবো কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। আমরা সতর্ক ছিলাম। এজন্য ধন্যবাদ জানাই পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবিকে।’

পদ্মা সেতুর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুসের বিশ্বাস, আস্থা অর্জনের চেয়ে রাজনীতিকের জীবনে বড় প্রাপ্তি আর কিছু হয় না। অনেকেই সন্দিহান ছিল, এরকম খরস্রোতা নদীতে (পদ্মায়) সুপারস্ট্রাকচার করা বিরাট চ্যালেঞ্জ। আল্লাহর রহমতে আমরা করেছি। ওবায়দুল কাদের স্প্যান বসানোর উদ্বোধনে দেরি করতে চেয়েছিল। আমি বলেছি- না। এটা নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে। অনেক মানুষকে অপমানিত হতে হয়েছিল। এক সেকেন্ডও দেরি করবো না। আমেরিকান সময় ৩টার সময় ম্যাসেজ পেলাম সুপারস্ট্রাকচার বসেছে। আমি ছবি চাইলাম। ওই ছবি দেখে আমরা দুইবোন কেঁদেছি। অনেক অপমানের জবাব দিতে পারলাম। বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে মর্যাদা নিয়ে থাকুক।’