মাল্টা ও কমলা চাষে সফল যশোরের চাষি

মাল্টা ও কমলা চাষে সফল যশোরের চাষি

যশোর সংবাদদাতা: কমলা ও মাল্টা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের মুজগুন্নী গ্রামের আব্দুল করিম। মাত্র এক বিঘা জমি দিয়ে শুরু করে বর্তমানে তিনি ১০ বিঘা জমিতে চাষ করছেন সুস্বাদু এ ফল। তার সাফল্যে উৎসাহ পেয়ে আরও অনেকেই বর্তমানে শুরু করেছেন এ ফলের চাষ।

জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দ্বিতীয় শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৪ সালে তিনি এক বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে বারি মাল্টা-১ জাতের চারা রোপণ করেন। এরপর নিবিড় পরিচর্যা ও জৈব প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাত্র দেড় বছরের মাথায় গাছে ফলন আসে। তারপর প্রতি বছর কয়েক চালান তুলে ভালো ব্যবসা হয়েছে তার। তাছাড়া বাগানের গাছ থেকে কলম তৈরি ও বিক্রি করে বছরে বাড়তি টাকাও আয় করছেন।

কৃষি বিভাগ বলছে, আব্দুল করিমের দেখাদেখি যারা চাষাবাদ শুরু করেছেন, তাদের প্রশিক্ষণসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। এক বন্ধুর পরামর্শে দেশের মাটিতে কমলার চাষকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেন তিনি। আড়াই বছর পর তিনি লাভের মুখ দেখেন। সহযোগী ফসল হিসেবে বারি মাল্টাও চাষ শুরু করেন তিনি। সাথী ফসল বারি মাল্টাতেও সফলতা পান তিনি।

এখন প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে এ ফলের চাষ হচ্ছে। মাল্টা আর কমলা চাষ হচ্ছে সেখানে। চলতি বছর ওই মাঠে প্রথম ফল এলেও সেগুলো ভেঙে দেওয়া হয়। সামনের বছর গাছে প্রচুর ফল আসবে বলে তিনি আশা করছেন।

আব্দুল করিম বলেন, সাড়ে পাঁচ বছর আগে খুলনার কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে ১২৫টি মাল্টা আর ২৫টি কমলার চারা আনি। উচ্চতা অনুযায়ী এগুলো ১০০ থেকে ২৫০ টাকা দরে কিনেছিলাম। সেগুলো লাগানোর দেড় বছর পর ফলন পাই। প্রথম দফায় খরচ ও বিক্রি মিলিয়ে সমান সমান হয়েছিল। এর পরের বছর আড়াই লাখ, তার পরের বার চার লাখ এবং এবার ছয় লাখ টাকা আয় হয়েছে।

আব্দুল করিম ফল ছাড়াও মাল্টা ও কমলার চারা বিক্রি করেন। দু’বছর ধরে তিনি চারা বিপণন করছেন। প্রতিবছর ২০ হাজার চারা বিক্রি করা হয়। উচ্চতা অনুযায়ী তিনি এই ফলের চারা ১০০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এছাড়া তার খামারে এখন ১৫ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। তারা জমি নিড়ানো থেকে শুরু করে স্প্রে, সার প্রয়োগ ও ফল আহরণ করে থাকেন।