বাংলাদেশে ঢুকছে ভারতের বিষাক্ত রাসায়নিক আম

ভারতের-বিষাক্ত-সুন্দরী-আম

নিউজ নাইন২৪, ঢাকা: ভারত থেকে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসছে ‘বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো’ সিঁদুরকৌটা ও রুপালি ভোগ আম। বেনাপোলে এসব আম ‘সুন্দরী’ নামে পরিচিত। বেনাপোলসহ শার্শা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এসব আম এখন বেশ পাওয়া যাচ্ছে। বৈধপথে আম আমদানির ব্যবস্থা থাকলেও লাভ কম হয় বলে অবৈধভাবে এগুলো আসছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

কিভাবে চেনা যাবে এই বিষাক্ত ফল? চেনার কয়েকটি উপায় হলো- বিষাক্ত আমগুলোতে দেখা যাবে হলুদের আভা। বোঁটার দিকে টকটকে লাল এই আম দেখলে মনে হবে হলুদ আলতার মিশ্রণ, যা সহজেই ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে। দিনের পর দিন পার হয়ে গা কুঁচকে গেলেও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রনের ফলে তা নষ্ট হবে না।

বাগআঁচড়ার ফল ব্যবসায়ী গোলাম আজম অভিযোগ করে বলেন, ‘অনেক ব্যবসায়ী রাইফেলস ও কেন্ট জাতীয় ওষুধ স্প্রে করে ফলের রং উজ্জ্বল ও পাকানোর ব্যবস্থা করেন। এর পর ফরমালিন দিয়ে কৃত্রিম উপায়ে আমগুলো সজীব রাখা হয়। লোকজন শুধু এর বাহ্যিক রূপ দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন। ভারতের মাদ্রাজ থেকে আসা সুন্দরী আম দেশীয় আমের আগে বাজারে আসায় অনেক বিক্রিও হচ্ছে।’

বেনাপোলের ফল ব্যবসায়ী শওকত আলি বলেন, প্রতিবছর মৌসুম শুরুর আগেই যশোরের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ‘চোরাই পথে’ আসা ভারতীয় ‘সুন্দরী’ আমে বাজার ভরে যায়। এবারও একই অবস্থা। দামও চড়া। প্রতি কেজি আম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়।

বেনাপোল পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) রাসিদা খাতুন বলেন, ভারত থেকে আসা আমসহ বিভিন্ন ফলের ক্যামিক্যাল পরীক্ষা করার ব্যবস্থা আমাদের নেই। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুস সালাম বলেন, স্থানীয়ভাবে ফলে রাসায়নিক ব্যবহারে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা ধাকায় কাজটি বন্ধ রয়েছে। বেনাপোল সি এন্ড এফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন বলেন, বৈধভাবে আমদানি করলে লাভ তেমন হয় না। তাই অবৈধপথে এসব আম এখন বাংলাদেশে আসছে।

এর আগে ২০১৪ সালের মে মাসে ইউরোপ যখন ভারতের আম আমদানি নিষিদ্ধ করল, ঠিক তখনই সেই নিষিদ্ধ আমের চালান ট্রেনযোগে বাংলাদেশে ঢোকানো হয়েছিলো।