বিজ্ঞান চর্চায় উৎসাহিত করে কুরআন

Science from Quran

অনলাইন: পবিত্র কুরআন গুরুত্ব সহকারে নির্দেশ দিয়েছে, বিশ্বপ্রকৃতির যা কিছু সবই মানুষের সেবার জন্য। তাই তারা যেন এই প্রকৃতিকে তাদের নিজের কাজে লাগায়। এখানে আমাদের প্রতি উপদেশ রয়েছে আমরা যেন মানবদেহের কাঠামো ও কার্যক্ষমতা অধ্যয়ন করি, আমরা যেন অধ্যয়ন করি উদ্ভিদের শ্রেণিবিন্যাস এগুলোর কার্যপ্রণালি এবং গঠনপ্রকৃতি।
পবিত্র কুরআন আমাদের উপদেশ দেয় যেন আমরা মৌলিক ও যৌগিক পদার্থের গুণাগুণ এবং তাদের সংযোগের নিয়ম এবং সংযোগের ফলে একের ওপর অপরের কি প্রভাব যা আধুনিক রসায়নবিদ্যার বিষয় তা অধ্যয়ন করি। পবিত্র কুরআন আমাদের ভূগর্ভের খনিজ পদার্থের কাঠামো, গঠনপ্রকৃতি, বিন্যাস, তার জৈব ও অজৈবিক পরিবর্তন ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে গভীর অধ্যয়নের নির্দেশ দেয়। এ সম্পর্কে অজ্ঞতা আধুনিক ভূবিদ্যার সমস্যা। পবিত্র কুরআন আমাদের উপদেশ দেয়, যেগুলো আধুনিক তা জ্যোতিবিজ্ঞানের বিষয়। যেমন : আমরা যেন দিন ও রাতের পরিবর্তন, মৌসুমের পরিবর্তন, গ্রহ-নক্ষত্রের গতি-প্রকৃতি অধ্যয়ন করি। পবিত্র কুরআন উপদেশ দেয় আমরা যেন বাতাসের, মেঘের সংঘটন ও বিবর্তন বৃষ্টির বর্ষণ ইত্যাদি বিষয় অধ্যয়ন করি। এগুলো আবহাওয়া বিজ্ঞানের বিষয়। বহু শতাব্দী ধরে বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে মুসলমানরা ছিল অগ্রগামী। তারপর ধীরে ধীরে এ নেতৃত্ব তাদের হাত থেকে সরে গেছে। মুসলমানরা তাদের নেতৃত্বের ভূমিকায় অকৃতকার্য হতে লাগল। ফলে বস্তুবাদী ইউরোপ মুসলমানদের তৈরি নেতৃত্বের শূন্য স্থান পূরণ করল।
ইসলামের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে বিজ্ঞান ও অন্য সকল বিষয়ে জ্ঞান চর্চা। মুসলমানরা না হলে ইউরোপ কোনোদিন রেনেসাঁ দেখতে পেত না এবং আধুনিক বৈজ্ঞানিক যুগের সূচনাও হতো না। যে সকল জাতি ইউরোপরে নিকট হতে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান লাভ করেছে তারা প্রকৃতপক্ষেই অতীতের ইসলামি সমাজের পরোক্ষ শিষ্য।