বাংলাদেশি হত্যায় বিএসএফের ‘হিরো জওয়ান’ সাসপেন্ড

নিউজ নাইন, ডেস্ক: বিএসএফের যে জওয়ানকে তাদের তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে ‘হিরো’ হিসেবে, এক বাংলাদেশি কিশোরকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সেই জওয়ানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া ও বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত অঞ্চলে ওই গুলি চালনার ঘটনাটি ১৪ মের। বিএসএফের তথ্যচিত্রে বড় ভূমিকায় দেখানো এই জওয়ানসহ মোট সাতজন সীমান্ত রক্ষীকে এই ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ‘কোর্ট অফ এনকোয়ারি’ চালু হয়েছে।

সাসপেন্ড হওয়া সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে রয়েছেন এ আত্রেয় নামের এক জওয়ান, যাকে বাহিনীর পঞ্চাশবর্ষ পূর্তিতে নির্মিত একটি তথ্যচিত্রে স্পষ্টভাবেই দেখা গিয়েছিল। তিনি কম্যান্ডো প্রশিক্ষণও নিয়েছেন।

বিএসএফ কর্মকর্তারা বলছেন, সেদিন সকাল দশটা নাগাদ একদল সন্দেহভাজন সোনাপাচারকারীকে সীমান্তের অভ্যন্তরে ভারতের দিকেই আটকায় বিএসএফ টহলদারী দল।

ওই সন্দেহভাজন পাচারকারীরা দা ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এবং ডি সাওয়ান্ত নামের এক বিএসএফ সদস্য যার হাতে শুধু লাঠি ছিল তাকে ঘিরে ফেলে।

১১৩ ব্যাটালিয়নের ওই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তথ্যচিত্রে বাহিনীর ‘মুখ’ হিসাবে থাকা বিএসএফ সদস্য এ আত্রেয়।

ধৃত কনস্টেবল সাওয়ান্তকে ছাড়ানোর জন্য আত্রেয় নিজের পাম্প একশান গান (মারণাস্ত্রের বদলে যে ছররা বন্দুক ব্যবহার করে বিএসএফ) থেকে দুবার গুলি চালান বলে জানা গেছে।

গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হন।

এই ঘটনাতেই বাহিনীর সদস্যদের সাসপেন্ড করে ‘কোর্ট অফ এনকোয়ারি’ শুরু করেছে বিএসএফ।

ঢাকায় সদ্যসমাপ্ত মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে বিএসএফ আর বিজিবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সীমান্তে সব হত্যার ক্ষেত্রেই যৌথ তদন্ত করবে। কিন্তু নদীয়া-চুয়াডাঙ্গায় সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরের মৃত্যুতে সম্ভবত যৌথ তদন্ত হবে না, কারণ ইতিমধ্যেই বিএসএফ তাদের আইনী তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।

সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অফিসারেরা বলছেন, তারা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যা রোধে বেশ কয়েক বছর ধরেই মারণাস্ত্রের সঙ্গেই এমন সব অস্ত্র ব্যবহার করছেন, যাতে সন্দেহভাজন পাচারকারীরা শুধু আহত হন। কিন্তু এই সব অস্ত্র থেকে বেরনো ছররা গুলিও যদি খুব কাছ থেকে গায়ে লাগে, তাহলেও মৃত্যু হতে পারে।

সূত্র: বিবিসি