বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দুই সিটির পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দুই সিটির পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন হাসপাতালের বর্জ্য ও গৃহবর্জ্য ব্যবস্থাপনা কীভাবে হবে, পয়ঃনিষ্কাশন, সিটি করপোরেশনের নিজস্ব বিল্ডিং, সুইপার প্যাসেসসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তার একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বর্জ্য নিয়ে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে সে সম্পর্কে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্টদের।
দুই সিটির বর্জ্য নিয়ে করা আবেদনের শুনানিতে বুধবার হাইকোর্টের বিচারক এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারক সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত অনলাইন বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। রিটকারি আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবির আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিন শুনানিতে রিটের পক্ষে ছিলেন তিনি।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আইন অনুসারে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে ২০১৬ সালে হাইকোর্টের বিচারক মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারক ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে দুই সিটির পক্ষে আইনজীবী তৌফিক ইনাম প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন। ওই দিন আদালতের শুনানিতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবির, তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী গাজী গিয়াস উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

‘অব্যবস্থাপনায় ময়লার ভাগাড় ঢাকা’ শিরোনামে ২০১৫ বছরের ৭ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবির বর্জ্য ব্যবস্থানায় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ দেয়। নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও কোনো জবাব এবং পদক্ষেপ গ্রহণের কোনো তথ্য না পাওয়ায় ওই আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করে।

রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আইন অনুসারে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সে সম্পর্কে তিন মাসের মধ্যে আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে দুই সিটি।

আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবির তখন বলেছিলেন, এটি একটি আংশিক প্রতিবেদন। দুই সিটির কোনো প্রতিবেদনইে হাসপাতালের বর্জ্য ও গৃহবর্জ্য ব্যবস্থাপনা কীভাবে হবে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। পয়ঃনিষ্কাশন, সিটি করপোরেশনের নিজস্ব বিল্ডিং, সুইপার প্যাসেসসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সে বিষয়েও কোনো তথ্য নেই।

ওই সময়ের প্রতিবেদনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জানায়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৩৩টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) স্থাপন করা হয়েছে, যার প্রতিটির আয়তন দুই হাজার বর্গফুট। আরও ২৩টির কাজ প্রক্রিয়াধীন। এক হাজার ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়েছে। দক্ষিণ সিটির সে সময়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালকে পরিচ্ছন্নতা বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল ৭টার মধ্যে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলতে বলা হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ময়লা ফেলার কাজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিন হাজার ৬০টি ডাস্টবিন স্বল্প দূরত্বে স্থাপন করা হয়েছে। আরও পাঁচ হাজার ৭০০টি স্থাপনের কাজ চলছে।