ফের হয়রানির শিকার দেশী ফল ব্যবসায়ীরা: নাটোরে আম ব্যবসায়ীর লাখ টাকা জরিমানা

নাটোর: জেলার বাগাতিপাড়ায় ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করে আম পাকানোর অমূলক অভিযোগ তুলে এক আম ব্যবসায়ীকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ফরহাদ হোসেন এ জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনা শ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করে।

জানা যায়, বাগাতিপাড়া উপজেলার বাগাতিপাড়া ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন রফিক মাস্টারের আম বাগান কিনে রাজশাহী জেলার বাঘা থানাধীন বাওশা গ্রামের আম ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ। তিনি সকালে ২৫০ কেজি আম পেড়ে বাজারজাত করার জন্য প্রস্তুত করছিলেন। কিন্তু ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষরা কারবাইড মেশানোর অভিযোগ তুলে তাকে আটক করে। তারা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানালে অতিউৎসাহী উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। অভিযোগের ফরেনসিক পরীক্ষা ছাড়াই শুধু মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে সাহাবুদ্দিন আহম্মেদকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের বিনা শ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার ফরহাদ হোসেন দাবি করেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী তাকে এ শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। তবে এলাকার সচেতন লোকজন বলেন- সারা বছর আমদানি করা বিদেশী ফল ফরমালিন দিয়ে বিক্রি হলেও প্রশাসন রহস্যজনক কারণে ঘুমিয়ে থাকে। আবার দেশী ফলের মৌসুমে রহস্যজনকভাবে প্রশাসনের ঘুম ভাঙ্গে। এটার পেছনে ষড়যন্ত্র আছে।

এদিকে, আম ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ দৃঢ়তার সাথে বলেন, আমি রফিক মাস্টারের আম বাগান কিনেছি। নিজেেই গাছ থেকে আম পেড়ে বাজারে বিক্রি করতে আনি। কে আমার আমে কারবাইড মেশাবে? তিনি অভিযোগ করে বলেন, মোবাইল কোর্টের লোকেরা নিজেরা লোক পাঠায়া নাটকীয়ভাবে আমাকে জরিমানা করছে। তারা কোন প্রমাণ দিতে পারবেনা বলেও চ্যালেঞ্জ করেন সাহাবুদ্দিন।