ফের পচা গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে দুই জাহাজ

নিউজ নাইন২৪ডটকম, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় এক লাখ টন পচা গম নিয়ে অবস্থান করছে দুটি বিদেশি জাহাজ। নিম্নমানের এসব পচা গম খালাসের চেষ্টা করছে একটি চক্র। রাশিয়া থেকে আসা দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থান করলেও এসব গম খালাস না করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর। দুটি জাহাজে রয়েছে ৯৯ হাজার ৩০০ টন নিম্নমানের গম।

অভিযোগ উঠেছে, নিম্নমানের গম নিয়ে সরকারের কঠোর অবস্থানের মধ্যেও রাশিয়া থেকে আনা এই নষ্ট গম কৌশলে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের চেষ্টা করছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। নমুনা পরীক্ষা করে নিম্নমানের গম পাওয়ায় গত সপ্তাহে ৫১ হাজার টন সরকারি গম নিয়ে আসা ‘স্পার লিবরা’ জাহাজকে গত সোমবার ও ৪৮ হাজার ৩০০ টন গম নিয়ে বৃহস্পতিবার নোঙর করা ‘ইকুইনক্স ডন’ জাহাজকে মঙ্গলবার ফেরত নিতে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।

কিন্তু সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান দুটি জাহাজে থাকা প্রায় এক লাখ টন নিম্নমানের গম বেসরকারিভাবে খালাস করতে নানাভাবে তৎপরতা চালাচ্ছে। স্পার লিবরা জাহাজকে দু’দিন আগে ফেরত যাওয়ার নোটিশ দেয়া হলেও এখনো সেটি ভাসছে চট্টগ্রাম বন্দরে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ৫১ হাজার মেট্রিক টন গম নিয়ে রাশিয়া থেকে ‘স্পার লিবরা’ নামের একটি জাহাজ গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ৪৮ হাজার ৩শ’ টন গম নিয়ে ‘ইকুইনক্স ডন’ নামে অপর একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে নোঙর করে। গম খালাসের অপেক্ষায় থাকা এসব জাহাজে গমের নমুন পরীক্ষায় দেখা যায়- গমগুলো অনেকাংশে নষ্ট, পচা এবং খাবারের অনুপযোগী। খাদ্য অধিদপ্তরের নমুনা পরীক্ষায় গম পচা ও নিম্নমানের এসব গম খালাস এবং গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায় খাদ্য অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার গমের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফনিক্স কমোডিটিজ এমসিসিকে এসব গম ফেরত নিয়ে যেতে চিঠি দিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর। গম ফেরত নিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত চিঠি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের শিপিং এজেন্ট ইউনিশিপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন। জহিরুল ইসলাম আরো জানান, পচা ও নিম্নমানের গম নিয়ে আসা আরো ৪টি জাহাজকে গত এপ্রিল, মে ও জুন মাসে ফেরত পাঠানো হয়েছিলো। এসব জাহাজে দুই লাখ ১০ হাজার টন গম বোঝাই ছিলো।