প্রথম আলোর সাংবাদিকতার মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কৃষিমন্ত্রী

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ঢাকা: প্রথম আলোর সাংবাদিকতার মান নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলেছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি সংসদে বলেছেন, অসত্য তথ্য পরিবেশন করা সাংবাদিকতার নীতিমালা পরিপন্থী। ২৭ মে পত্রিকাটিতে প্রকাশিত একটি সংবাদের পর সরকারি তদন্তে সে খবরের সত্যতা পাওয়া যায়নি। আজ মঙ্গলবার আইনসভায় ৩০০ বিধিতে একটি বিবৃতিতে তিনি একথা জানান।

সংসদে ৩০০ বিধির বিবৃতির পর সম্পূরক প্রশ্নের সুযোগ থাকে না। মন্ত্রীরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোনো বিষয়ে এই বিধিতে বিবৃতি দেন। পত্রিকাটিতে ‘কলের লাঙলের ভর্তুকির বড় ভাগ সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের পকেটে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই সংবাদের পর কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করা হয় বলে জানান মন্ত্রী মতিয়া।

ষাটের দশকে মতিয়া যখন বামপন্থি ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানও তখন ছাত্র সংগঠনটির মধ্যম সারির নেতা ছিলো। মতিয়া চৌধুরীর নেতৃত্বের পর ছাত্র ইউনিয়নের শামছুদ্দোহা নেতৃত্বাধীন কমিটির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন মতিউর। পরে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ও দলটির মুখপত্র একতার সম্পাদক ছিলেন।

সাবেক রাজনৈতিক সহযোদ্ধা সম্পাদিত পত্রিকার সমালোচনা করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রথম আলো একটি প্রতিষ্ঠিত পত্রিকা। আমরা অনেকেই আগ্রহের সঙ্গে এটা পড়ি। দেশে তাদের বহু পাঠক আছে। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। কিন্তু কলম হাতে পাইলেই মিথ্যা কথা লেখা। কলম হাতে পাইলেই অসত্য তথ্য পরিবেশন করা, এটা সাংবাদিকতার নীতিমালার বিরোধী।

সততার জন্য গণমাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া এই মন্ত্রী বলেন, এই ধরনের সাংবাদিকতা প্রথম আলোর মতো পত্রিকা করবে, সেটা আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল। এই জন্যই এই রিপোর্টটা আমি দেশবাসীর সামনে তুলে ধরলাম।

সংসদে উত্থাপিত বক্তব্য প্রথম আলোতেও পাঠানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি কাগজেও পাঠাইছি। আমি জানি, কালকে তিন লাইন ছাপাবে। বড় জোর চার লাইন ছাপাবে। তারা সেইটুকুই প্রকাশ করেন যেটুকু তাদেরকে টাচ করে না।

পত্রিকাটির সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে সরকারি তদন্ত দল ডেকেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের সংবাæাতা কমিটির সামনে উপস্থিত হবেন না। আমরা তো শুধু কৃষি মন্ত্রণালয় দিয়ে এই কমিটি করি নাই। কাজেই এই ধরনের সাংবাদিকতা তারা যত পরিহার করবেন, এটা দেশবাসীর জন্য মঙ্গল। তাদেরও সাংবাদিকতায় সুনামের জন্য অবশ্যপালনীয় শর্ত।