পোশাক কারখানা থাকবে না তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে
নিউজ নাইন২৪ডটকম, ঢাকা: রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকাকে শিল্পের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায় রূপান্তরে মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে সরকার।
সচিবালয়ে রোববার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে এক সভায় ‘মাস্টার প্ল্যান’ প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদন, ম্যাপ ও ডাটাবেইজ পর্যালোচনা করে তা চূড়ান্ত করা হয়।
মহাপরিকল্পনা অনুসারে সেখানে শ্রমঘন যেসব শিল্প (পোশাক কারখানা) আছে সেগুলো সরিয়ে নিতে হবে বলে সভা শেষে জানান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “তেজগাঁও শিল্প এলাকাকে শিল্প কাম বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায় রূপান্তরে অনেকের দাবি ছিল। এটার উপর আমরা একটি কমিটি করেছিলাম, ছয়টি বৈঠক করে আমারা এটা ফাইনাল করেছি।”
২০২০ সালের মধ্যে মহাপরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা নিয়ে সরকার এগুচ্ছে বলে জানান তিনি।
মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী তেজগাঁও ‘অত্যাধুনিক’ এলাকা হবে জানিয়ে মন্ত্রী মোশাররফ বলেন, “এখন পুরো জিনিসটি আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেব, তিনি দেখবেন।
“তেজগাঁওয়ে সরকারি ও ব্যক্তিগত জমি আছে। আমরা এখানে ভারী ও শ্রমঘন কোনো শিল্প রাখব না। এটা অত্যাধুনিক একটি এলাকা হবে।”
তিনি বলেন, তেজগাঁওয়ে সরকারি জমির উপর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন করা হবে।
তেজগাঁওয়ে ভারী কোনো শিল্প-কারখানা নেই জানিয়ে মোশাররফ বলেন, শ্রমঘন যেসব শিল্প (পোশাক কারখানা) আছে সেগুলো সরিয়ে নিতে হবে।
“এখানে বিজি প্রেস আছে। তাদের অনেক জায়গা। সরকার এটাকে আধুনিকীকরণ করতে পারে। পুরো এলাকায় ট্রাফিক সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টাও আমরা করছি।”
২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকাকে রূপান্তরের প্রস্তাবে সায় দিয়ে মহাপরিকল্পনা নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয়।
১৯৫০ এর দশকে জমি অধিগ্রহণ করে ৫০০ একর ২০ শতাংশ জায়গার উপর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হয়। সেখানে বর্তমানে ৪৩০টি প্লট থাকলেও ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান নেই।
পরিবর্তনশীল অবস্থার প্রেক্ষাপটে ১৯৯৮ সালে তেজগাঁও-গুলশান সংযোগ সড়ককে ‘বাণিজ্যিক সড়ক’ ঘোষণা করে সরকার।
গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রইছুল আলম মণ্ডল, তেজগাঁও শিল্প মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মোহা. নূর আলীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।