পাহাড়ে ৪টি ব্রিগেড রেখে সব সেনাক্যাম্প সরিয়ে নেয়া হবে —প্রধানমন্ত্রী

নিউজ নাইন২৪, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেবল ভূমি সংস্কার ব্যতীত পার্বত্য শান্তি চুক্তির অধিকাংশই বাস্তবায়ন হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, সেনাক্যাম্পগুলোর অধিকাংশই তুলে নেয়া হয়েছে। চারটি জায়গায় কেবল চারটি ব্রিগেড থাকবে। বাকিগুলো সব সরিয়ে নেয়া হবে; যে জন্য রামুতে আমরা একটা সেনানিবাস করেছি। ওই অঞ্চলে তার সরকার শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

গতকাল সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে অফিসার্স ক্লাবের পাশের স্থানে দুই একর জমির ওপর পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণের ভিত্তিফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রায় দুই একর জমির ওপর নির্মাণাধীন এ কমপ্লেক্স প্রকল্পে ছয়তলা ভবন, মাল্টিপারপাস হল, ডরমিটরি, প্রশাসনিক ভবন, জাদুঘর, লাইব্রেরি, ডিসপ্লে সেন্টার, থিয়েটার হল, পার্বত্য চট্টগ্রাম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর বাসভবন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের বাসভবন থাকবে। খবর বাসস।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ভূমি সংস্কারের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন একাধিকবার গঠন করলেও কমিশনের কাজ সন্তোষজনকভাবে এগোয়নি। কারণ সেখানে কিছুটা অবিশ্বাস ও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করছিল। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই এ অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব।

পার্বত্য চট্টগ্রাম আইন, ২০০১-এর কতিপয় সংশোধনীর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে সম্ভব সবকিছু করতেই প্রস্তুত রয়েছে সরকার।

পার্বত্য শান্তি চুক্তির পুরোপুরি বাস্তবায়নে সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীরাও বাংলাদেশের নাগরিক। সুতরাং সরকার ওই অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ, বিদ্যুত্ খাত এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর সিংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) বলেন, ‘পার্বত্য শান্তি চুক্তির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে পার্বত্যাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল, উদ্বেগজনক ও হতাশাজনক।

অবিশ্বাস ও সন্দেহের দূরত্ব ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। পার্বত্যবাসীর মনে হতাশা ও নিরাশা চেপে বসেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ নেতৃত্বে যেমন পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ সম্ভব হলো, একইভাবে তার বিজ্ঞ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যারও সমাধান হতে পারে।’