নির্বাচন একমাস না পিছালে কঠোর আন্দোলন-ঐক্যফ্রন্ট

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। তারপরও ভোটের তারিখ এক মাস পেছানোর দাবিতে অনড় রয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
শেষ পর্যন্ত দাবি মানা না হলে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবে নবগঠিত এ জোট।
সোমবার বিকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব এ কথা জানান।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবির প্রেক্ষিতে ভোটগ্রহণের তারিখ ২৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা এ ঘোষণা দেন।

এ প্রসঙ্গে আ স ম আবদুর রব বলেন, ঐক্যফ্রন্ট তফসিল এক মাস পেছানোর দাবিতেই অনড় থাকবে। এ ব্যাপারে তারা পরবর্তী কর্মসূচি দেবে।

এর আগে সোমবার সকালে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে জোটের কয়েকজন নেতা বৈঠক করেন। এদিন তাদের নির্বাচন কমিশনেও যাওয়ার কথা ছিল। তবে জানা যায়, ইসি থেকে সময় না পাওয়ায় তারা যাননি।

ওই বৈঠক শেষে আ স ম আবদুর রব সাংবাদিকদের বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের একদিন পরেই ইংরেজি নববর্ষ। ওই সময় দেশে কোনো কূটনীতিক ও বিদেশি পর্যবেক্ষক থাকবেন না। তাই সরকার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নির্বাচন বানচাল করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সরকার চাইলে আলোচনা করে পুনঃতফসিল দেওয়া সম্ভব দাবি করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের দাবিতে অনড় থাকব। দাবি মানা না হলে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার সকালে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির উদ্বোধনের সময় বলেন, দেশে এখনও নির্বাচনের কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি। এর পরিবর্তন না হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করা হবে।