‘নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিতে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে’

নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও প্রতিযোগিতামূলক হবে। সেখানে যদি আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করা না যায় তাহলে শুধুমাত্র অন্যের ওপর নির্ভর করে নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারব না। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। আর সেজন্য সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের এক মতবিনিময় সভার শুরুতে এসব কথা বলেন তিনি।

হানিফ বলেন, ‘আমাদের সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আপনারা দেখেছেন নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন। আমাদের ধরেই নিতে হবে ২০২৪ সালের শুরুতে বা তার আগে জাতীয় নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে আমাদের নিরঙ্কুশ বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। এ বিজয় সুনিশ্চিত করতে হলে আমাদের সাংগঠনিক শক্ত অবস্থান করতে হবে। সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে হবে। পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচন সেটা যে খুব একটা মসৃণ পথে হয়ে যাবে এটা ভাবার কোন কারণ নেই। এই দেশে বিএনপি-জামায়াত দুইটি অপশক্তি। এরা কিন্তু আমাদের দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করার জন্য তৎপর। যে দলের দুই শীর্ষ নেতাই দুর্নীতি, সন্ত্রাসী এবং হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে সাজাপ্রাপ্ত। তাদের সেই নেতৃত্বকে এ দেশের জনগণ ভোট দেবে না; এটা বিএনপি জানে এবং জানে বলেই তারা চায় জাতীয় নির্বাচন না হোক। এই সরকারের পতন ঘটাতে পারলে অন্য কোন সরকার যদি আসে তখন তাদের দণ্ড মওকুফ করে দিয়ে নির্বাচনের একটা সুযোগ দিতে পারে। কিন্তু সেটার বাস্তবায়ন করার কোন সুযোগ নেই।’

হানিফ বলেন, ‘আমরা চাই এদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা রাখাতে। সেজন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংবিধান অনুসারে যথাসময়ে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে আমরা আশা করি সব রাজনৈতিক দল অংশ নিবে। তারপরও যদি কোন রাজনৈতিক দল অংশ না নেয় সেটা তাদের ব্যাপার। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে। কেননা আমরা সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই।’

দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হবে। সেখানে যদি আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করা না যায় তাহলে শুধুমাত্র অন্যের ওপর নির্ভর করে আমরা নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারব না। এজন্য আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। পাশাপাশি জনগণের সম্পৃক্ততা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। তাহলে প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করে আমরা রাজনৈতিক মাঠ যেমন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব, তেমনি নির্বাচনেও জয়লাভ করতে পারব।’

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে হবে। অনেক কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। যেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে সেগুলোর প্রত্যেক ওয়ার্ড ইউনিয়ন উপজেলা শেষ করে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আমরা জেলা সম্মেলন শেষ করতে চাই। সে লক্ষ্যে আমরা আমাদের রোডম্যাপ তৈরি করছি।’

‘বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তান আমল ভালো ছিল’-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে হানিফ বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের বক্তব্যই প্রমাণ করে বিএনপি স্বাধীন বাংলাদেশে বিশ্বাসী নয়। তারা এ দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বিশ্বাস করে না। যে কোন মূল্যে তারা বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’