ধারণা ভোক্তা অধিদপ্তরের: ৪০ হাজার টন সয়াবিন তেল মজুদদারদের ঘরে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে সয়াবিন তেল থাকলেও ঈদের আগে-পরে দোকানে তা না আসায় ১০ দিনে ৪০ হাজার টনের মতো সয়াবিন তেল মজুদ হয়েছে বলে ধারণা করছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
গত রোববার সারাদেশে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন দোকান-গুদাম থেকে মজুদ করা সয়াবিন তেল উদ্ধারের পর সার্বিক চিত্র সম্পর্কে এমন একটি ধারণা দেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

তারা বলছেন, একদিকে মিল থেকে তেলের সরবরাহ ও অন্যদিকে ভোক্তারা তেলের নাগাল না পাওয়া সাপ্লাই চেইনের অন্তত ১০ দিনের তেল মজুদ হয়েছে। দৈনিক ৫ হাজার টন চাহিদা বিবেচনায় প্রায় ৪০ হাজার টন তেল মজুদ করা হতে পরে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, যেই তেল লিটার ১৬০ টাকা বিক্রি করার কথা, এখন ভোক্তাদের জিম্মি করে, বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে অসৎ ব্যবসায়ীরা সেটা ৪০ টাকা বেশি মুনাফা করবেন। এতে করে বাজার থেকে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা মজুদদারদের পকেটে চলে যাবে বলে প্রাথমিক হিসাবে দেখা যাচ্ছে।
তবে এটা কোনো প্রামাণ্য হিসাব নয় বলে মানলেও তিনি বলেন, তবে এধরনের ঘটনা যে ঘটছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

ভোক্তা অধিকারের একজন কর্মকর্তা জানান, দেশে প্রতিদিন গড়ে চার হাজার টন থেকে পাঁচ হাজার টন সয়াবিন ও পাম তেলের চাহিদা রয়েছে এবং তা মিল পর্যায় থেকে পূরণও করা হয়। ঈদের সময় যখন বাজারে তেলের সঙ্কট তখনও মিল থেকে তেল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছিল।