দু’বছরের ক্ষতি এবার পোষাতে পারবেনতো ব্যবসায়ীরা?

নিজস্ব প্রতিবেদক: লকডাউনের কারণে গেলো দু’বছর রমাদ্বান শরীফে ব্যবসা করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। বিধিনিষেধে কার্যত বন্ধ ছিল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন তারা। বিশেষ করে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পোশাক ব্যবসায়ীরা যে লাভের আশা করেন তা ভেস্তে যায় গত দু’বছর। তবে এবার লকডাউন ও বিধিনিষেধ না থাকায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কোমর বেঁধে নেমেছেন ব্যবসায়ীরা। ছুটছেন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে।

রংপুর নগরীর ছালেক মার্কেট, জাহাজ কোম্পানি শপিং কমপ্লেক্স, গোলাম মোস্তফা সুপার মার্কেট, জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট, হাড়িপট্টি রোড, তালতলা রোডসহ বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে কেনাকাটার আগাম প্রস্তুতি চলছে।

অনেকেই রোজার আগে ও শুরুতেই বিভিন্ন মোকাম থেকে মালামাল কিনে দোকানে সাজিয়ে রেখেছেন। বাহারি রঙের কাপড় শোভা পাচ্ছে দোকানগুলোতে। আবার কেউ কেউ নতুন কাপড় কিনতে অবস্থান করছেন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে।

ছালেক মার্কেটের ‘সিনথিয়া গার্মেন্টস’র মালিক সনি আহমেদ জানান, লকডাউনের কারণে ২০২০ সালের রমাদ্বান শরীফ মাসে পুরোপুরি দোকান বন্ধ ছিল। ২০২১ সালে রমাদ্বান শরীফের শেষ দিকে কিছুদিন দোকান খোলা থাকলেও আশানুরূপ ব্যবসা হয়নি। তবে এবার লকডাউন ও বিধিনিষেধ না থাকায় গত দুই বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চেষ্টা চলছে।
রোজা শুরুর আগেই তিনি দোকানে নতুন পোশাক তুলেছেন এবং আরও মোকাম থেকে পোশাক আনার কথা ভাবছেন বলেও জানান এ ব্যবসায়ী।

হাড়িপট্টি রোডের ‘জননী বস্ত্রালয়’র মালিক এনামুল হক জানান, রোজার শুরুর দিকে বেডশিট, পর্দার কাপড়, তোয়ালেসহ প্রয়োজনীয় কিছু মালামাল কিনেছেন। দু’একদিনের মধ্যে লুঙ্গি কিনতে তিনি পাবনা ও কুষ্টিয়ার মোকামে যাবেন। এবার ব্যবসা ভালো হবে বলে তিনি আশা করছেন।

রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন বলেন, দেশে এখন বড় ধরনের কোনো লকডাউন নেই। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও সন্তোষজনক। সবদিক বিবেচনায় বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ব্যবসা ভালোই হবে বলে আশা করি।