তাইওয়ানের-পাকিস্তান সম্পর্কের বিচ্ছেদ

তাইওয়ানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ও সহযোগিতা ছিন্ন করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দফতরের এক নির্দেশে এ সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। চলতি মাসের ৩ তারিখে পাক প্রধানমন্ত্রীর তিনদিনের সফরে বেইজিং যাওয়ার আগেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিলেন।

সফরে ইমরান খান পাকিস্তান ও চীনের অর্থনৈতিক করিডোর এবং পাকিস্তানে চীনের বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার বিষয়ে চীনা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করার কথা রয়েছে। তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে চীন। তবে বিগত বছরগুলোতে সাই ইং ওয়েন তাইওয়ানের ক্ষমতা গ্রহণের পর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। সাই ইং ওয়েন চীন থেকে তাইওয়ানকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করতে চান।

চীনের কমিউনিস্ট বিপ্লবের পর ১৯৪৯ সালে তাইওয়ান চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চীন এ বিচ্ছিন্নতা মেনে নেয়নি এবং বেইজিং তাইওয়ান দ্বীপকে নিজের একটি প্রদেশ বলে মনে করে।

সম্প্রতি চীন সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে ঘোষণা করে, তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষাকারী দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে বেইজিং। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করতেই পাকিস্তান তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।