চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে : সেনাপ্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক: সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সকলকে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬টি ইউনিটের রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠান বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার, রাজশাহী সেনানিবাসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেছেন।

রাজশাহী সেনানিবাসস্থ ‘রেজিমেন্ট অব দি মিলিনিয়াম’ খ্যাত বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত হলে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ৬৬ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার রংপুর এরিয়া মেজর জেনারেল মো. ফয়জুর রহমান তাকে অভ্যর্থনা জানান।

সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে প্রিয় বাংলাদেশ আজ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন হচ্ছে। সেনাবাহিনীর সামরিক ঐতিহ্য অনুযায়ী যে কোনো ইউনিটের জন্য রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। তিনি সকলকে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে আহ্বান জানান।

সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন এবং এ রেজিমেন্টের উন্নয়ন, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও দেশে-বিদেশে পরিচালিত বিভিন্ন কার্যক্রম বিষয়ে মতবিনিময় করেন। সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য, দেশমাতৃকার সেবায় সক্রিয় অবদানের কথা স্মরণ করেন।

আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে এই রেজিমেন্টের সকল সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান। রেজিমেন্টাল কালার প্রদান এবং বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে সেনাপ্রধানের উপস্থিতিতে উক্ত রেজিমেন্টদ্বয় এবং কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স এর সদস্যদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি ও প্রতিটি সদস্যের মাঝে আগামী দিনে দেশসেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।

এ সময় একটি সম্মিলিত চৌকস দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে সালাম প্রদান করেন। গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক ইউনিটসমূহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা দেশ মাতৃকার সেবায় বিশেষ অবদান এবং বিবিধ প্রশিক্ষণ ও অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরুপ একটি ইউনিট বা রেজিমেন্টকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১১ এসপি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৩৭ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ১৯ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন, ২৫ বীর (সাপোর্ট ব্যাটালিয়ন), ২৯ বীর এবং ৩৪ বীর আজকের কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ করে এবং প্রধান অতিথির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে।

অনুষ্ঠানে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরী, এসবিপি, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি, এমফিল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. মোশফেকুর রহমান, এসজিপি, এসইউপি, এনডিসি, পিএসসি এবং জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার বগুড়া এরিয়া মেজর জেনারেল মো. খালেদ-আল-মামুন, পিবিজিএম, এনডিসি, পিএসসি’সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন পদবীর সেনাসদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।