ট্রাক চাপায় মুহূর্তেই শেষ গোটা পরিবার

নিউজ নাইন২৪, ময়মনসিংহ: নেত্রকোনার পূর্বধলা থেকে অসুস্থ শরীর নিয়ে চিকিৎসা করাতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসছিলেন শিরিনা বেগম (২৫)। সঙ্গে তার স্বামী কাজল মিয়া (৩৫), দু’শিশু সন্তান তাহসিন (৬) ও মোফাজ্জল ওরফে তৌহিদ (৪), ছোট ভাই উজ্জল (২০)।

হাসপাতালে ঠিকই গিয়েছেন শিরিনা। তবে জীবন্ত নয়, গিয়েছে তার নিথর দেহ। সঙ্গে নিশ্চিহ্ন গোটা পরিবার। প্রয়োজন হয়নি আর চিকিৎসার।

ময়মনসিংহ থেকে ১০ কি.মি দূরে সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জের মুদারপুর এলাকার গাছতলা নামক এলাকায় আসতেই হঠাৎ একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে অটোরিকশাটি ঢুকে যায় ট্রাকের নিচে। আহত অটোরিকশার যাত্রীরা তখনো যাত্রীরা বারবার বাঁচার আকুতি জানাচ্ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, অটোরিকশার কোন দোষ ছিল না, ট্রাকই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাপা দেয়। ট্রাকের নিচ থেকে তাদের উদ্ধার করতে সময় লেগে যায় প্রায় ত্রিশ মিনিটেরও বেশী। আর সেখানেই সব শেষ হয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা মহাসড়কের শম্ভুগঞ্জের মুদারপুরে ঘাতক ট্রাক কেড়ে নিয়েছে শিরিনার পরিবারেরই পাঁচজনসহ ৮টি তরতাজা প্রাণ।

মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো অন্য তিনজন হচ্ছেন- অটোরিকশা চালক সাদেকুল ইসলাম (২৮), অটোরিকশা মালিক আশরাফুল ইসলাম (২৫) ও আব্দুল হালিম (২৪)। তাদেরও বাড়ী একই গ্রামে।

দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুঁটে যান পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মঈনুল হক।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, ময়মনসিংহগামী একটি অটোরিকশা শম্ভুগঞ্জের মুদারপুর নামক এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নেত্রকোনাগামী একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার আট যাত্রী নিহত হয়। এ সময় ঘাতক ট্রাকটি আটক হলেও ট্রাকের চালক পালিয়ে যায়।