গাছে গাছে লিচুর মুকুল পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা

গাছে গাছে লিচুর মুকুল পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা

নিউজ ডেস্ক: ঝিনাইগাতীতে গাছের শাখায় শাখায় লিচুর মুকুল। মুকুল থেকে ফুল ফুটতে শুরু করেছে। মৌমাছির আনাগোনায় জানান দিচ্ছে সরব উপস্থিতি। আর এই সুযোগে মৌ মৌ গুঞ্জনে সুভাসিত হচ্ছে চারদিক।

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীর লিচু রসে ভরা ও সুস্বাদু হওয়ায় এর কদর দেশসহ বিদেশেও রয়েছে। এসব লিচুর মধ্যে চায়না থ্রি, বেদেনা, বোম্বাই, মাদ্রাজি ও কাঁঠালী লিচু উল্লেখয্যেগ্য। গত কয়েক মৌসুম থেকে দেশের অনেক এলাকায় কমবেশি লিচু চাষ হলেও মানুষের কাছে ঝিনাইগাতীর লিচুর গ্রহণযোগ্যতাই আলাদা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে, এবারও শেরপুরে রেকর্ড পরিমাণ লিচুর ফলন হবে বলে আশা করছেন চাষি ও বাগানিরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি বাড়ির বসতভিটা ও আঙিনার লিচু গাছে এবং লিচু বাগানে মুকুল আসতে শুরু করেছে। মুকুলের সঙ্গে ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জন আর ঝিঁঝিঁ পোকার ঝিঁঝিঁ শব্দে এলাকা মুখরিত হয়ে উঠেছে।

লিচু বাগানগুলোতে ফুল আসা থেকে লিচু আহরণ পর্যন্ত ৩-৪ মাস লিচু বাগানের সঙ্গে সম্পৃক্তদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায়। ফুল আসার ১৫ দিন আগে এবং ফুল আসার ১৫ দিন পরে সেচ দিতে হয়। সেই অনুযায়ী গাছে মুকুল আসার সঙ্গে সঙ্গেই মুকুলকে টিকিয়ে রাখতে লিচু চাষি ও ব্যবসায়ীরা স্প্রে করেন। এছাড়াও মুকুল যাতে ঝরে না পড়ে সেজন্য গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি ও সার দিয়ে যাচ্ছেন। লিচু চাষিরা বলেন, লিচুর ফুল আসা শুরু করার সঙ্গেই শুরু করে দিতে হয় পরিচর্যা। নিয়মিত স্প্রে ও সেচ দেওয়া শুরু হয়েছে। লিচু গাছে ফুল আসতেই বিভিন্ন এলাকার লিচু ব্যবসায়ীরা ঝিনাইগাতীতে আসতে শুরু করেছেন। তারা আগাম লিচু বাগান ক্রয় করছেন।