ক্ষুধার তাড়নায় ডিম্বাণু বিক্রি করছে ভারতের মেয়েরা

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ডেস্ক: কেবল ক্ষুধার তাড়নায় দু’বেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করার তাগিদে ফার্টিলিটি ক্লিনিকগুলিতে কোনো রকম স্বাস্থ্য সচেতনতা ছাড়াই নিজেদের ডিম্বাণু বিক্রি করছে ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের কলেজ ছাত্রীরা।

মঙ্গলবার ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দালালদের খপ্পরে পড়ে কলেজ ছাত্রীরা এই সব ক্লিনিকে আসছে । এরা জানতেও পারছে না দিনের পর দিন কোনো রকম যথাযথ পদ্ধতি এবং প্রোটেকশন ছাড়াই এ ভাবে ডিম্বাণু বিক্রির ফলে কতটা মারাত্মক ক্ষতি ঘটিয়ে ফেলছে তাদের স্বাস্থ্যে!

দেখা যায়, এই ছাত্রীরা মূলত তেলেঙ্গনার নালগোন্ডা জেলার দেবরকোন্ডা, আদিবাসী অধ্যুসিত অঞ্চল মেহবুব নগর, ওয়ারানঙ্গান এবং করিমনগরের বাসিন্দা। দারিদ্র এই অঞ্চলের মানুষগুলোর নিত্যদিনের সঙ্গী। তার উপর টানা খরায় আরো বেড়েছে দুর্দশা। ফলে সেখানকার অল্পবয়সী মেয়েদের সহজেই লোভ দেখিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এই পেশায় নিয়ে আসছে বিভিন্ন ফার্টিলিটি ক্লিনিকের দালালরা।

তবে ডিম্বাণু দাত্রী নির্বাচনে ওই ফার্টিলিটি ক্লিনিকগুলো বেশ ‘নাক উঁচু’ । গায়ের রং, শারীরিক গঠন, সুস্থতা এবং ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে চলছে ঝাড়াই বাছাই। তারপর কম সময়ের মধ্যে বেশি সংখ্যক ডিম্বাণু পাওয়ার লোভে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই ডিম্বাণু দাত্রীকে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন হরমোনাল ইনজেকশন। খাওয়ানো হচ্ছে ওষুধ।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেসব কলেজ ছাত্রী এই পেশায়, তাদের উপার্জন কত? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমনই এক কলেজ ছাত্রী জানিয়েছে, মাস গেলে তার পকেটে ঢোকে মাত্র ১০ হাজার রুপি।

তেলেঙ্গানার ম্যাক্সকিউর হাসপাতালের চিকিত্সক অজ্ঞানি মনুজা জানিয়েছেন, ‘অবৈজ্ঞানিক ভাবে লাগাতার এই রকম হরমোন থেরাপির ফলে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে এই ছাত্রীদের শরীরে। ভবিষ্যতে তাদের মা হওয়ার সময় প্রাণঘাতী সমস্যাও হতে পারে।’ সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা