কম্পিউটার নিবন্ধনধারীদের কেন সুযোগ দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল

কম্পিউটার নিবন্ধনধারীদের কেন সুযোগ দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসরকারি শিক্ষক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ থেকে (এনটিআরসিএ) নিবন্ধনধারীদের এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে বৈধ প্রার্থী হিসেবে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বা কম্পিউটার নিবন্ধনধারীদের বৈধ প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ কেন দেয়া হবে না মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বা কম্পিউটার বিষয়ে নিবন্ধনধারীগণ এনটিআরসিএ’র অধীনে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রদান না করার নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

একই সঙ্গে কেন তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বা কম্পিউটার বিষয়ে ২০১৫ সালের পূর্বে নিবন্ধনধারীদের বৈধ প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ ও নিয়োগ প্রদানের নির্দেশ দেয়া হবে না এ মর্মেও রুল জারি করেছেন আদালত।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, এনটিআরসি’র চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিরকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

৩২ জন কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষকের দায়ের করা রিট পিটিশনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিটকারীদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দু কুমার রায়।

রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘২০১৫ সালের ১৪ জুন ‘সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১০ সংশোধন করা হয় এবং পূর্বের স্বীকৃত সহকারী শিক্ষকের (কম্পিউটার) শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘বিশ্বলবিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি এবং সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান হতে কম্পিউটার বিষয়ে ন্যূনতম ৬ (ছয়) মাসের প্রশিক্ষণ’ এর সংশোধন করে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড হতে ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সায়েন্স ডিগ্রি করা হয়। কিন্তু ইতোমধ্যে আবেদনকারীগণ পূর্বের নীতিমালা অনুসারে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বা কম্পিউটার বিষয়ে এনটিআরসিএ কর্তৃক নিবন্ধন গ্রহণ করলেও তাদের ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি তথা শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণের সুযোগ প্রদান করা হয়নি। তাই তারা সংক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ এই রুল জারি করেন।’

রিটকারীরা হলেন মো. আবদুল্লাহ শিবলি, মো. সাজ্জাক আলী, সুকান্ত কুমার দাস, নির্মল কুমার, মো. মাহমুদুল হাসান, রোজিনা আক্তারসহ বিভিন্ন জেলার ৩২ জন নিবন্ধনধারী।