ওপেন স্কাই ঘোষণাসহ ৫ দাবি আটাবের

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনতিবিলম্বে আগামী এক বছরের জন্য ওপেন স্কাই ঘোষণা করাসহ ৫ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

বিমানের টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন আটাবের সাবেক সভাপতি এস এন মনজুর মোর্শেদ মাহবুব।

এস এন মনজুর মোর্শেদ মাহবুব বলেন, বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাতায়াতের জন্য এয়ার টিকিটের আকাশচুম্বী মূল্য বিরাজ করছে। গত অক্টোবর থেকে এই সংকটময় অবস্থা শুরু হয়। চলতি মাসে এ টিকিট মূল্য সর্বকালের সেরা রেকর্ড ছাড়িয়েছে।

রিয়াদ, জেদ্দা, মাস্কাট ও দুবাইয়ের ইকোনমি ক্লাসের স্বাভাবিক একমুখী ভাড়া থেকে ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা হলেও বর্তমানে তা এক লাখ থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় চলে এসেছে। অনেক সময় বেশি টাকা দিয়েও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে দেশি বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোও ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এর ফলে প্রবাসী, শ্রমজীবী, বিদেশগামী যাত্রী, ওমরাহ যাত্রী, রিক্রুটিং এজেন্সি, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর অপারেটরসহ সবাই ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে বর্তমানে প্রায় ৬০ শতাংশ কম ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে এবং চাহিদা ও যোগান সম্পর্কে কোনো তথ্য বিশ্লেষণ না করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো এয়ারলাইনসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে গুটিকয়েক এজেন্সি এই সুযোগে টিকিট সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মূল্য বৃদ্ধি করে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

আটাবের দাবিগুলো হচ্ছে- অনতিবিলম্বে আগামী ১ বছরের জন্য ওপেন স্কাই ঘোষণা করতে হবে, যাতে সব এয়ারলাইনস তাদের চাহিদা মোতাবেক পর্যাপ্ত ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারে;

এয়ারলাইনসের টিকিট বিক্রয় ও বিপণন নীতিতে নাম ছাড়া টিকিট/সিট বুকিং, ব্লক পদ্ধতি বন্ধ করতে হবে; প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরগুলোকে সমন্বয় করতে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করে করে চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য বজায় রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; এয়ারলাইনসগুলোর বিপণন ও বিক্রয় পদ্ধতি মনিটরিংয়ের জন্য আরেকটি কমিটি গঠন করে অন্যায় ও দুর্নীতি প্রমাণ সাপেক্ষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) দায়িত্ব নিয়ে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে ও পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে।