এ ধরনের বই আরো থাকলে পুলিশকে জানান

ঢাকা : ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ দেয়ার অভিযোগে আটক তিনজনসহ আরো কেউ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠ থাকলে তাদের গ্রেপ্তার করবে পুলিশ। আটক তিনজনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শাহাবাগ থানায় এক প্রেস কনফারেন্সে রমনা জোনের ডিসি আ. বাতেন একথা জানান।

এরআগে গতকাল সোমবার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে বইমেলার ১৯১ নম্বর ব-দ্বীপ প্রকাশনের স্টল বন্ধ করে দেয়া হয়। ওই প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ‘ইসলাম বির্তক’ বইয়ের সম্পাদনাকারী শামসুজ্জোহা মানিক, প্রকাশনীর কর্মকর্তা ফকির তসলিম উদ্দিন কাজল (৫৩) ও লেখক শামসুল আলম চঞ্চলকে (৫১) আটক করা হয়।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে কেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়েছে-এমন প্রশ্নে আব্দুল বাতেন বলেন, ‘তারা বইটি লিখে ওয়েবসাইটে ছেড়ে দিয়েছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই বইটিতে সাংঘাতিক অশালীন কথা লেখা হয়েছে। এ ধরনের কথা শুধু ইসলাম নয়, কোনো ধর্ম সম্পর্কেই বলা উচিৎ নয়।’ এ ধরনের লেখার পেছনে কোনো দুরভিসন্ধি আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান আব্দুল বাতেন।

তিনি আরো বলেন, ‘প্রাথমিক কথা বার্তায় মনে হয়েছে তারা বাম ঘরানার লোক।’

তিনি আরো বলেন, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোনো মেলায় এ ধরনের বিদ্বেষ ছড়ানোর বই কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। এ ধরনের বই মেলায় আরো আছে কি না এ বিষয়ে কোনো তথ্য নাই। থাকলে আপনারা আমাদের তথ্য দিবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

‘ইসলাম বির্তক’ বইটিতে ধর্মকে আঘাত করে বাজে ভাষায় প্রবন্ধ লেখা হয়েছে। বইয়ের ১৭৫টি কপি জব্দ করেছে পুলিশ।
কেন তথ্য আইনে ‍মামলা করা হলো- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে ডিসি জানান, বইয়ের কপি ওয়েবসাইডে দেওয়ার কারণেই এ মামলা করা হয়েছে।