ইহুদীদের উপাসনালয়ে বন্দুক হামলায় নিহত ১১, আহত ৬

যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গ নগরীর একটি সিনাগগে শনিবার শিশুদের নামকরণ অনুষ্ঠানে বন্দুক হামলায় ১১ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদিদের ওপর সাম্প্রতিক কালের সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা।
এই ঘটনায় হামলাকারীর বিরুদ্ধে ২৯টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। খবর এএফপি’র।
৪৬ বছর বয়সী স্থানীয় বাসিন্দা রবার্ট বোয়ার্স ‘সব ইহুদিকে মরতে হবে’ এই ঘোষণা দিয়ে ট্রি অব লাইফ সিনাগগে এ হামলা চালায়।
হামলার সময় সিনাগগে সকালের সাবাথ অনুষ্ঠান চলছিল।এ সময় সেখানে বেশ অনেক ইহুদি ধর্মাবলম্বী উপস্থিত ছিল।
হামলার পর পুলিশের সঙ্গে রবার্টের বন্দুকযুদ্ধ হয়।পুলিশ তাকে আটক করে। বন্দুকযুদ্ধে হামলাকারী আহত হওয়ায় তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার রাতে মার্কিন প্রসিকিউটররা তার বিরুদ্ধে সহিংসতা ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার সংক্রান্ত ২৯টি অভিযোগ দায়ের করেছে। এর মধ্যে ধর্ম পালনে বিঘ্ন সৃষ্টিকরা ও এর ফলে হত্যাকান্ডের ১১টি অভিযোগ রয়েছে।
প্রসিকিউটররা এক বিবৃতিতে জানায়, ‘কেন্দ্রীয় নাগরিক অধিকার আইনের ভিত্তিতে এ ধরণের সহিংসতামূলক ঘৃণাজনিত অপরাধ নিষিদ্ধ।’
এর আগে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবার্টের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে তাতে তার মৃত্যুদ- হতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘটনাকে ‘জঘন্য ও নির্বিচারে হত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
ইহুদি ধর্মে ধর্মান্তরিত ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কা বলে, ‘আমেরিকা ইহুদি বিরোধী ঘটনার ঘোর বিরোধী।’
ট্রাম্প ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনী জনসভায় তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলে, ‘ইহুদিদের বিরুদ্ধে অপশক্তির এই হামলাটি আমাদের সকলের ওপর আঘাত।’
সে বলে, ‘ইহুদি বিরোধী ও ঘৃণার শক্তিকে পরাজিত করতে আমাদের অবশ্যই ইহুদি ভাই বোনদের পাশে দাঁড়াতে হবে।’
সে শিগগিরই পেনসিলভানিয়া নগরীতে যাবে। সিনাগগটি এই শহরে অবস্থিত।
শনিবার রাতে কয়েকশ বাসিন্দা মোমবাতি জ্বালিয়ে রাত্রি জাগরণ করেছে।
এই ঘটনায় নিহতদের প্রতি সম্মান জানাতে ট্রাম্প ৩১ অক্টোবর হোয়াইট হাউস ও যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত সরকারি অফিস এবং সেনা ও নৌঘাটিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, রবার্ট একটি রাইফেল নিয়ে স্থানীয় সময় সকাল ১০টার কিছু আগে ওই সিনাগগে হামলা চালায়।
পিটার্সবার্গের জননিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক এই ঘটনাকে ‘ভয়াবহ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।